মাজহারুল মিচেল: ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বৃহস্পতিবার (২৫ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ দিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সব সময়েই গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্যই যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি।
পিটার হাসের বক্তব্যকে উদ্ধৃতি করে বাংলা নিউজ ২৪ ডট কম এক প্রতিবেদনে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র গতকাল (২৪ মে) যে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা দিয়েছে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এটা প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের জনগণ, সরকার এবং যারা এই সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে। যুক্তরাষ্ট্র সব সময়েই গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এটি পূর্বনির্ধারিত, যা নিয়মিত বৈঠকের অংশ। দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে নতুন ভিসা নীতি। এটি বাংলাদেশের জনগণ, সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী- বাংলাদেশের সবার জন্য, যাতে করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়।’
কালের কন্ঠ ডট কম এক প্রতিবেদনে জানায়, বাংলাদেশে যাতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, সে জন্যই নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের উদ্ধৃতি দিয়ে জাতীয় দৈনিক যুগান্তর অনলাইন যুগান্তর ডট কম জানায়, বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মোমেন। ‘বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ীদের’ ভিসা না দেওয়ার যে নতুন নীতি যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে, তাতে সরকার ‘মোটেও ভীত নয়’ বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মোমেন বলেন, ‘আমেরিকার এই ভিসার রেস্ট্রিকশন শুধু সরকারি দলের ওপর না, অপজিশনের লোকজনেরও ওপর বর্তাবে। এতে করে আমরা আশা করি, এবার তারা (বিএনপি) ইনশাআল্লাহ একটু সচেতন হবে।’
তিনি বলেন, বিএনপির সময় ১ কোটি ২৩ লাখ ফেইক ভোটার তৈরি হয়েছে। যাতে ফেইক ভোট না হয়, সেজন্য ভোটারের ফটো আইডি করে দিয়েছি। কেউ কেউ অভিযোগ করে যে রাতের অন্ধকারে নাকি ভোট হয়ে যায়। সেজন্য আমরা স্বচ্ছ ট্রান্সপারেন্ট ব্যালট বাক্স তৈরি করেছি। ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশনের জন্য আমরা শক্তিশালী ইসি তৈরি করেছি। ইলেকশনের সময় এটাকে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার করার দায়িত্ব কিন্তু সে ইলেকশন কমিশনের, সরকার তাদের সাহায্য করবে।’
মোমেন আরও বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন করতে চাই, এইটাকেই তারা (যুক্তরাষ্ট্র) সমর্থন দিয়েছে। সুতরাং, নাথিং টু ওরি। সেই সঙ্গে তারা এও বলেছে যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে একটা ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশনের যে আগ্রহ, সেটাকে আরও শক্তিশালী করার জন্য তারা এই নীতিটা করেছে।’ সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
এমএমএইচ