শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৫ মে, ২০২৩, ০৫:৫১ বিকাল
আপডেট : ২৫ মে, ২০২৩, ০৫:৫১ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চুরির মামলা নিতে চান না অনেক ওসি : ডিবি প্রধান 

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ

মাসুদ আলম: ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, অনেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনে করেন, চুরির মামলা নিলে খুঁজতে হবে ও কষ্ট করতে হবে। এ কারণে অনেকে মামলা নিতে চান না। তবে আবার অনেকে (ওসি) কষ্টও করেছেন। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে  সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আবার মোটরসাইকেল চুরি হলে অনেকে মামলা করতে চান না। তাই আমি বলব মোটরসাইকেল চুরি হলে জিডি না করে মামলা করতে। থানা মামলা নিতে না চাইলে গোয়েন্দা কার্যালয়ে এলে আমরা অভিযোগ নেব।

ডিবি প্রধান বলেন, বুধবার মোটরসাইকেল চুরি চক্রের মূলহোতা মো. জাকারিয়া হোসেন হৃদয়কে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ। তার কাছ থেকে বিভিন্ন মডেলের ১২টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়ে। হবিগঞ্জের লোকরা বাজারের ‘বন্ধু মটরস’ গ্যারেজ থেকে মোটরসাইকেলসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে গ্যারেজটির মালিক মোহন পালিয়ে যায়। 

তিনি আরও বলেন, গত ১০ মে যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। এ ঘটনায় ২৩ মে ভাটারা থানায় একটি মামলা করা হয়। মামলাটির তদন্ত করতে গিয়ে তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মোটরসাইকেল চোর চক্রের সন্ধান পায় ডিবি।  চক্রটি কয়েকটি ধাপে মোটরসাইকেল চুরি ও বিক্রির কাজটি সম্পন্ন করে থাকে। এ চক্রের একজন সদস্য স্পটে থাকে। সে মোটরসাইকেল মালিকের গতিবিধি লক্ষ্য করে। অন্য সদস্যরা মোটরসাইকেলটি কিছু সময় পর্যবেক্ষণ করে মাত্র ২৫-৩০ সেকেন্ডের মধ্যে সাথে থাকা মাস্টার চাবি দিয়ে লক ভেঙ্গে দ্রুত পালিয়ে যায়। 

তিনি আরও বলেন, পরবর্তী সময়ে চোরাই মোটরসাইকেলটি কয়েকটি হাত বদল হয়ে  হবিগঞ্জের লাখাই রোডের বন্ধু মটরস গ্যারেজ পর্যন্ত পৌঁছায়। সেখানে কিছু যন্ত্রপাতি পরিবর্তন, চ্যাসিস ও ইঞ্জিন নম্বর পাঞ্চ করে বন্ধু মটরসের মালিক ৫০-৬০ হাজার টাকায় আবার বিক্রি করে দেয়।

তিনি বলেন, এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদী, নাসিরনগর, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থান হতে প্রতি সপ্তাহে ২/৩ টি করে মোটরসাইকেল চুরি করে ‘বন্ধু মটরস’ গ্যারেজের মালিকের মাধ্যমে বিক্রি করে আসছে। মোটরসাইকেল নিয়ে স্কুল বা মার্কেটে গেলে যেখানে-সেখানে না রেখে নির্ধারিত স্থানে পার্কিং করবেন,  ১০ টাকা লাগলেও। তার পরেও যদি চুরি হয়ে যায়, তাহলে থানায় জিডি নয়, মামলা করবেন। সম্পাদনা: শামসুল হক বসুনিয়া

এমএ/এসএইচবি/এএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়