জাফর খান: মঙ্গলবার (২৩ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার এবং বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের বেঞ্চ শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন। সময় টিভি
এর আগে গত ৯ মে বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, জুন মাসের ৭ তারিখের আগে আদালত কোনোভাবেই শুনানি করতে পারবেন না। ওই সময় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছিলেন, জুন মাসের আগেই এ মামলাটির শুনানি শেষ করতে হবে। কারণ বাজেটে এটি রাজস্ব দেখাতে হবে।
এ প্রসঙ্গে ইউনূসের আইনজীবীরা জানান, তারা শুনানির জন্য প্রস্তুত না। ওই সময় অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে যদি এ মাসে তারিখ না দেওয়া হয় তবে তিনি প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করবেন বলে উল্লেখ করেছিলেন। পরে আদালত এ মামলার দ্রুত শুনানি করতে পারবেন না এমন বিবেচনায় কার্যতালিকা থেকে বাদও দিয়েছিলেন।
পরে অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, মামলার দ্রুত শুনানির জন্য তিনি হাইকোর্টের অন্য বেঞ্চে দ্রুতই আবেদন করবেন। এর আগে গত ৭ মে হাইকোর্টকে এনবিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০১২-১৭ এই পাঁচ বছরে ১১০০ কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়েছেন ড. ইউনূস।
এদিকে রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, সরকারের পাওনা অর্থের মধ্যে একটি হলো গ্রামীণ কল্যাণের ৫৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ৫৭ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা ও একই তহবিলের আরেকটিতে ৩৫৪ কোটি ৭৯ লাখ ৮৯ হাজার ৫৪৭ টাকা এবং গ্রামীণ টেলিকমের একটিতে ২১৫ কোটি টাকা। এর আগে ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় সাড়ে ১১০০ কোটি টাকার আয়কর রিটার্নের মামলা চালুর জন্য হাইকোর্টে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
নোবেল বিজয়ী এ অর্থনীতিবিদের ব্যক্তিগত এবং তার প্রতিষ্ঠিত ৯টি প্রতিষ্ঠানের কর সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে এনবিআরের কাছে চিঠি দিয়েছিল দুদক। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এনবিআরের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সংশ্লিষ্ট সার্কেল এবং জরিপ দফতরকে মৌখিক নির্দেশনাও দেয়া হয়েছিল।
এদিকে সরকারের দাবি অনুযায়ী ৬১ কোটি টাকা দানের ওপর ধার্য ১১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ড. ইউনূসকে দিতে হবে কী না সে বিষয়ে হাইকোর্টের রায়ে নিস্পত্তি হবে ৩১ মে। একাত্তর টিভি
রাষ্ট্রপক্ষের দাবি, ইউনূসের দানটি বিধিসম্মত ছিলো না। জানা যায়, নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস ২০১১-১২, ২০১২-১৩ ও ২০১৩-১৪ করবর্ষে যে বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দিয়েছেন, তাতে তিনি উল্লেখ করেছিলেন মৃত্যুভয়ে ভীত হয়ে প্রায় ৬১ কোটি টাকা তিনি তার অধীনস্ত তিনটি ট্রাস্টকে দান করেছেন। আর তাই আইন অনুযায়ী তিনি এই দানের ওপর ধার্যকৃত কর থেকে অব্যাহতি পাবেন বলে দাবি জানিয়েছেন। সম্পাদনা: শামসুল হক বসুনিয়া
জেকে/এসএইচবি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :