আনিস তপন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কার্যক্রম ঠেকাতে এবং অস্ত্র, মাদক উদ্ধারে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে। প্রয়োজনে এ অভিযানে সেনাবাহিনীও থাকতে পারে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে রোহিঙ্গা সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির সভায় অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে রক্তপাত হচ্ছে। তাদের অপতৎপরতা বাড়ছে। সেজন্য সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যাতে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা ক্যাম্পের ভেতরে কোনো ধরনের অপতৎপরতা চালাতে না পারে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল, চেকপোস্ট ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হবে সেখানে।
এছাড়াও সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হবে। আরসা ও আরাকান আর্মির কেউ যেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঢুকতে না পারে, সেজন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মধ্যে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারে ব্যাপক অভিযান চলবে। ক্যাম্প থেকে যেন কোনো রোহিঙ্গা বের হয়ে না আসতে পারে, সেজন্য কাঁটাতারের বেড়া দেয়া হয়েছে। ওয়াচ টাওয়ার বসানো হয়েছে। সেখানে নিয়মিত টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। টহল ও নজরদারি আরও জোরদার করা হবে। যাতে কেউ বাইরে না আসতে পারে। যৌথ টহলসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা আরো বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে মিয়ানমার সীমান্ত ব্যবস্থাপনা আরও শক্তিশালী করা হয়েছে, যাতে সীমান্ত দিয়ে দেশের অভ্যন্তরে কোন প্রকার মাদক ও নতুন করে মিয়ানমারের কোন নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে।
রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে ফেরাতে কূটনৈতিক তৎপরতা যেটা চলছে সেটাকে আরও বেগবান করার জন্য এখানে আলোচনা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য, জন্মনিয়ন্ত্রণ, পরিবার পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে। নাফ নদীতে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার দুই দেশের জেলেরা মাছ ধরে। বাংলাদেশের জেলে নৌকাকে রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনার জন্য আগের মিটিংয়ে নেয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। সম্পাদনা: শামসুল হক বসুনিয়াি
এটি/এসএ
আপনার মতামত লিখুন :