সালেহ্ বিপ্লব: ভোকার টার্ক এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমি উদ্বিগ্ন যে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সারা বাংলাদেশে ব্যবহার করা হচ্ছে সাংবাদিক ও মানবাধিকার রক্ষকদের গ্রেপ্তার, হয়রানি, ভয় দেখানো এবং অনলাইনে সমালোচকদের কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করে দিতে।
তিনি বলেন, আমি কর্তৃপক্ষকে আবার আহ্বান জানাচ্ছি যে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের প্রয়োজনীয়তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে আইনটির সংস্কার করতে। আমার অফিস ইতিমধ্যে বিস্তারিত প্রযুক্তিগত মন্তব্য প্রদান করেছে এমন একটি সংশোধনে সহায়তা করার জন্য।
বিবৃতিতে বলা হয়, ১ অক্টোবর ২০১৮ সালে চালু হওয়ার এই আইনের আওতায় ২ হাজারের বেশি মামলা হয়েছে। সর্বশেষ ২৯ মার্চ দেশের বৃহত্তম দৈনিক পত্রিকা প্রথম আলোর সাংবাদিক শামস জামানকে এই আইনে গ্রেপ্তার ও কারারুদ্ধ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও ফটোগ্রাফারের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মামলাটি বাংলাদেশে মানুষের জীবনযাপনের খরচ সংকটের প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে।
এর আগে ফেসবুক পোস্টে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে ফেব্রুয়ারিতে এই আইনের আওতায় পরিতোষ সরকার নামের এক যুবকের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়।
টার্ক ডিএসএ প্রয়োগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, আইনের অত্যধিক প্রয়োগ বা অতিরিক্ত প্রয়োগের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা থাকবে। কিন্তু প্রকৃতই আইনটির আগাগোড়া সংস্কার দরকার।
এমএএস