হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর: জেলার মধুখালী উপজেলায় শ্রেণিকক্ষে আটকে বাবা ও ছেলেকে পিটুনি ও অমানবিক নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া চার আসামিকে একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুর জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট কোর্টের ৫ নং আমলী আদালতে পুলিশ আসামিদের পাচদিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ওই আদালতের বিচারক মো. মারুফ হাসান প্রত্যেক আসামির একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড শুনানি শেষে আসামিদের জেলহাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আসামীদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞেসাবাদ করা হবে বলে জানান মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম।
আসামীরা হলেন, ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার মাঝকান্দি গ্রামের আসাদুল মোল্যার ছেলে ফরমান মোল্যা (২১), একই গ্রামের শাহজাহান মোল্যার ছেলে সজীব মোল্যা (২২) এবং একই উপজেলার শিবরামপুর গ্রামের নবিয়াল শেখের ছেলে জুবায়ের শেখ (২০) ও নূর ইসলাম ভূইয়ার ছেলে হাসিব ভুইয়া (২০)।
এর আগে সোমবার (২৭ মার্চ) ফরিদপুর জেলাসহ জেলার বাইরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ওইদিনই তাদের ফরিদপুরের কোর্টে প্রেরণ করা হয়। তবে আদালত বৃহস্পতিবার শুনানির দিন ধার্য করেন।
মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ওই চার আসামিকে আদালতের কাছে ৫ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। তবে আদালত শুনানি শেষে একদিন করে ওই চার আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, পুলিশ এ ঘটনায় এ পর্যন্ত পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। এরমধ্যে প্রধান আসামি কুতুবউদ্দিন আদালত থেকে জামিনে আছেন। এছাড়াও এ মামলার অপর দুই আসামি আদালত থেকে জামিনে আছেন। আর সদ্য গ্রেপ্তারকৃত বাকি চার আসামিকে একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। অতিশ্রীঘ্রই বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
১৭ মার্চ ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষে ইয়ামিন মৃধা (৪০) ও তার ছেলে রাজন মৃধা (১৫) কে পিটুনি ও নির্মম নির্যাতন করা হয়। এরপর নির্যাতনের ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হলে নিন্দার ঝড় উঠে। ওই ভিডিওতে মাঝকান্দির নাজিমউদ্দিনের মেয়ে রুমার নেতৃত্বে পাশবিক নির্যাতনের ভয়াবহতা ফুটে উঠে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রুমা গ্রেপ্তার হয়নি। তবে, তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম। সম্পাদনা: ইস্রাফিল ফকির
প্রতিনিধি/আইএফ/এনএইচ