শিরোনাম
◈ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন শুরু, ২৭ হাজার শিক্ষার্থী পাচ্ছে ভোটাধিকার, ১০ মিনিটে দিতে হবে ৪০ ভোট ◈ ব্যবসায়ীদের বিরোধিতা সত্ত্বেও চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন ট্যারিফ কার্যকর, সেবাচার্জ বেড়েছে গড়ে ৪১ শতাংশ ◈ চতুর্থ দিনের মতো চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলন ◈ মিরপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এখনো নিখোঁজ ১৩ জন ◈ কোন কোন উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, আমার কাছে ‘নাম ও কণ্ঠ রেকর্ড আছে’ : জামায়াতের নায়েবে আমীর ◈ রাজনী‌তির ময়দা‌নে আ‌লোচনা তু‌ঙ্গে, বাংলাদেশে সেফ এক্সিট কারা নিয়েছিলেন? ◈ বিমান নিরাপত্তায় বাংলাদেশে ঐতিহাসিক অগ্রগতি, নিন্দা থেকে প্রশংসায় বাংলাদেশ ◈ রোনালদোর রেকর্ড, হা‌ঙ্গে‌রির স‌ঙ্গে ড্র করায় বিশ্বকা‌পে ওঠার অপেক্ষা বাড়ল পর্তুগালের ◈ রোহিঙ্গা সংকট ও স্কুল ফিডিং কর্মসূচি : প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ডব্লিউএফপি প্রধানের বৈঠক ◈ সবার আগে ইউ‌রোপ থে‌কে ২০২৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড

প্রকাশিত : ২৯ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৬:৫৭ বিকাল
আপডেট : ৩০ জানুয়ারী, ২০২৩, ০২:৪২ দুপুর

প্রতিবেদক : আশ্রাফুর রহমান রাসেল

মায়ের কাছেই থাকবে দুই জাপানি শিশু, মামলা খারিজ

জাপানি দুই শিশু

এম. মোশাররফ হোসাইন: বাংলাদেশে আসা দুই জাপানি শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনার হেফাজত ও অভিভাবকত্ব দাবি করে বাবা ইমরান শরীফের করা মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান রোববার মামলাটি খারিজ করে এই রায় দেন। আর এই রায়ের ফলে এখন থেকে শিশু দুটি মা নাকানো এরিকোর হেফাজতে থাকবে এবং তাদের নিয়ে তিনি জাপান যেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তাদের মায়ের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার পারিবারিক আদালতে মামলাটি করেন শিশুদের বাবা ইমরান শরীফ। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি দুই শিশুর বক্তব্য শোনেন আদালত। মামলায় বাদীপক্ষের তিনজন আদালতে সাক্ষ্য দেন। আর বিবাদীপক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন জাপানি মা এরিকো নাকানো। সাক্ষ্যগ্রহণ ও দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনে রোববার এ রায় ঘোষণা করেন আদালত।

জাপানি চিকিৎসক নাকানো এরিকোর সঙ্গে বাংলাদেশি প্রকৌশলী ইমরান শরীফের বিয়ে হয় ২০০৮ সালের ১১ জুলাই। তাঁদের তিনটি মেয়েসন্তান আছে। দাম্পত্য কলহের জেরে ২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি এরিকোর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন ইমরান। এরপর ইমরান স্কুলপড়ুয়া বড় দুই মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। ছোট মেয়ে জাপানে এরিকোর সঙ্গে থেকে যান।

তবে ওই দুই মেয়েকে জিম্মায় পেতে মহামারির মধ্যে গত বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশে আসেন এ জাপানি নারী। তিনি হাইকোর্টে রিট করলে তাদের সমঝোতায় আসতে বলেন বিচারক। তবে ওই দম্পতি সমঝোতায় না আসায় কয়েক মাস ধরে শুনানির পর হাইকোর্ট দুই সন্তানকে বাবার হেফাজতে রাখার সিদ্ধান্ত দেন। পাশাপাশি মা যাতে সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে বাবাকে খরচ দিতে বলা হয়।

এরপর হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন নাকানো এরিকো। পরে আপিল বিভাগ এক আদেশে শিশু দুটিকে মায়ের জিম্মায় রাখার নির্দেশ দিলেও বাবা তা না মানায় বিচারকরা উষ্মা প্রকাশ করেন। পরে আদালত শিশু দুটিকে বাবার হেফাজত থেকে এনে তাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং পরে মায়ের হেফাজতে দেওয়ার আদেশ দেন।

আদেশে আরও বলা হয়, মামলার পারিপার্শ্বিক বিষয় ও শিশুদের স্বার্থ বিবেচনায় তাদের দেশের বাইরে নেওয়া যাবে না। আপিল বিভাগের আদেশের অনুলিপি পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পারিবারিক আদালতকে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

এদিকে, গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে দুই সন্তান নিয়ে জাপানে যাওয়ার জন্য ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান এরিকো নাকানো। আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে সন্তানদের নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করায় তাকে বিমানবন্দর থেকে পুলিশ ফিরিয়ে দেয়।

এ ঘটনায় ২৯ ডিসেম্বর বাবা ইমরান শরিফ ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালতে মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

পরে শিশুদের মা জাপানি নাগরিক এরিকো নাকানো সাংবাদিকদের বলেছিলেন, পারিবারিক আদালতে থাকা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি চান। একই দাবির কথা বলেন শিশুদের বাবা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইমরান শরীফ।

এরিকো নাকানো বলেছিলেন, আমার বাচ্চাদের বাবা ইমরান শরীফ জাপান থেকে আমাকে না বলে পালিয়ে তাদের নিয়ে এসেছে। তিনটি সন্তানের মধ্যে একটি বাচ্চাকে জাপান ফেলে এসেছি, দুটি বাচ্চার জন্য লড়াই করছি।

অন্যদিকে সংবাদ সম্মেলনে ইমরান শরীফ বলেন, আমি বাচ্চা ছিনতাই করিনি। এটি সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মিথ্যা। আমার মেয়ে আমার কাছে আশ্রয়ের জন্য এসেছে। যে মেয়ে আশ্রয় চেয়েছে, তাকে আমি কীভাবে আশ্রয় দেব না।

এমএমএইচ/এএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়