সালেহ্ বিপ্লব: দর্শনার্থীদের জন্য বঙ্গভবন সীমিত পরিসরে উন্মুক্ত করার লক্ষ্যে নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গভবনে সংস্কারকৃত এয়ার রেইড শেল্টার ও তোষাখানা জাদুঘরের উদ্বোধনকালে এ কথা জানান। বাসস
রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গভবনের ভিতরে সাধারণত মানুষ আসতে পারে না, এটার ভিতরে কি আছে, না আছে, কেউ কিছুই জানে না। মানুষ প্রবেশ করতে পারলে আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারবে।
বঙ্গভবনের তোষাখানা জাদুঘরকে শতাব্দীকালের বর্ণাঢ্য ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অন্যতম নিদর্শন হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গভবনের সমৃদ্ধ ইতিহাস সংরক্ষণ এবং তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে বঙ্গভবন তোষাখানা জাদুঘর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
আবদুল হামিদ বলেন, বিদেশী রাষ্ট্রদূতসহ আগন্তুকরা পরিদর্শনকালে আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হতে সক্ষম হবেন। বঙ্গভবনের অনেক স্থাপনা দেখে মোটামুটিভাবে তারাও আকৃষ্ট হবেন এবং আমাদের বাংলাদেশ সম্পর্কে তাদের মনোভাব অনেক উঁচু হবে বলে আমার বিশ্বাস।
বঙ্গভবন প্রেস উইং জানায়, এক সময় বঙ্গভবনের নাম ছিল মানুক হাউজ। এর পর গভর্নর হাইজ। ভিক্টোরীয় স্থাপত্য শিল্পের সাথে ইসলামী ও বাঙালী স্থাপত্যের সমন্বয়ে অনন্য এক নিদর্শন এ ভবনটি এখন রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ও বাসভবন। দেশের সর্বোচ্চ সুরক্ষিত প্রাসাদ বঙ্গভবন সম্পর্কে মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই।
বঙ্গভবনকে দেশি-বিদেশী দর্শনার্থীদের জন্য সীমিত পরিসরে উন্মুক্ত করার লক্ষ্যেই তোশাখানা ও এয়ার রেইড শেল্টার হাউজের আধুনিকায়ন এবং ওয়াকওয়ে নির্মানসহ নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সম্পাদনা: খালিদ আহমেদ
এসবি/এসএ