শিরোনাম
◈ এআই, কোয়ান্টাম ও নিউক্লিয়ার এনার্জিতে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের বড় চুক্তি ◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল

প্রকাশিত : ০৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০৯ রাত
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ০৬:৩৭ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আসামি আবিরের জবানবন্দি

সিএনজি কিনতে আয়াতকে অপহরণ, পরে খুন

আয়াত ও আসামি আবির

ডেস্ক রিপোর্ট : তিনটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা কিনে ধনী হওয়ার মনো বাসনায় চট্টগ্রাম নগরীর শিশু আলিনা ইসলাম আয়াতকে টুকরো টুকরো করে খুন করে সাগরে ভাসিয়ে দেওয়ার বিষয় স্বীকার করেছেন আসামি আবির আলী। আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তিনি জানান, শিশু আয়াতকে জিম্মি করে তার দাদার থেকে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ নিয়ে ধনী হতে তাকে অপহরণ করেন। 

শনিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালত আবিরের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত ১৭ পৃষ্ঠা জবানবন্দি দেন তিনি। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

আবির জবানবন্দিতে জানান, ধনী হতে দেড় মাস আগে তিনি আয়াতকে অপহরণ ও খুনের পরিকল্পনা করেন। 
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ইন্সপেক্টর মনোজ কুমার দে বলেন, শিশু আয়াত খুনের আসামি আবিরকে দুই দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করি। 

শিশুর শরীরের অংশও উদ্ধার হয়েছে। রিমান্ডের মধ্যেই আসামি স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

গত ১৫ নভেম্বর বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর নয়ারহাট এলাকার বাসিন্দা সোহেল রানার মেয়ে পাঁচ বছরের আলিনা ইসলাম আয়াত নিখোঁজ হন। 

২৪ নভেম্বর পিবিআই আবির আলীকে গ্রেপ্তার করে। তারপর আয়াতকে টুকরো করে খুন করার বিষয়টি সামনে আসে। 

১৫ নভেম্বর বিকেলে আয়াত বাসার পাশে একটি মক্তবে পড়তে যায়। পরে পরিবার জানতে পারে, শিশুটি মক্তবে যায়নি। উৎকণ্ঠায় থাকা পরিবার ১০ দিন পর জানতে পারে, আয়াত খুন হয়েছে পরিচিত আবির মিয়ার হাতে। আয়াত তাঁকে ‘চাচ্চু’ বলে ডাকত।

আবিরের বাবা ভ্যানচালক আজহারুল ইসলাম আয়াতদের বাসায় ভাড়া থাকেন। তাঁর মা আলো বেগম পোশাক কারখানা শ্রমিক। 

স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ায় তিনি ইপিজেড এলাকার আকমল আলী রোড এলাকায় অন্য বাসায় থাকেন। মা ও বাবার দুটি বাসায় যাতায়াত ছিল আবিরের।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়