আনিস তপন : বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের রজতজয়ন্তী উদযাপনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর দেশের মৎস্যসম্পদকে গুরুত্ব দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন মাছ হবে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের দ্বিতীয় বৃহত্তম খাত। মৎস্যসম্পদ আহরণের লক্ষ্যে তিনি মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে আসেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে সমুদ্র সংক্রান্ত আইন তৈরি করেন। বর্তমান সমুদ্রসীমা বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতির সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করছে। সুনীল অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান প্রচলিত ও অপ্রচলিত মাছ, সামুদ্রিক শৈবালসহ অন্যান্য সম্পদ।
দেশে ও দেশের বাইরে মৎস্যবিজ্ঞানের ব্যপ্তি ও কাজ করার সুযোগ অনেক বেশি। এ নিয়ে দেশে গবেষণার প্রচুর সুযোগনহ অর্থ বরাদ্দ রয়েছে। মৎস্যবিজ্ঞানীরা গবেষণার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে মৎস্য খাত উন্নয়নের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। নতুন উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করতে সহায়তা করছে।
দেশে মাছের উৎপাদন ৫ দশমিক ৬৫ লাখ মেট্রিক টন। বর্তমানে মাছের উৎপাদন অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার এ খাতে স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে ঋণ দেয়ার পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
দেশীয় প্রজাতির অনেক মাছ বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট গবেষণার মাধ্যমে ৩৭ প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় মাছ ফিরিয়ে এনেছে। দেশীয় মাছ সংরক্ষণে লাইভ জিন ব্যাংক করা হয়েছে। কোন অঞ্চলে মাছের শূন্যতা দেখা দিলে জিন ব্যাংক থেকে মাছের পোনা সে অঞ্চলে অবমুক্ত করা হবে। ফলে মাছের আকাল হবে না।