শিরোনাম
◈ আমি মদ খাই, আমার লাইসেন্স আছে: চাঁদপুরে আটক হওয়া তরুণী (ভিডিও) ◈ সতর্ক করল সরকার: ক্ষতিকর রঙ মিশিয়ে ‘মুগ’ ডাল নামে বিক্রি ◈ সঞ্চয়পত্র সিস্টেমে জালিয়াতি: বাংলাদেশ ব্যাংকের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিল জালিয়াত চক্র ◈ চালু হচ্ছে ‘এনইআইআর’: অবৈধ মোবাইল বন্ধ, বিদেশি ফোনেও রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক ◈ জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে নির্বাচন হওয়ার সুযোগই নেই: নাহিদ ইসলাম (ভিডিও) ◈ আরও এক দেশে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে সুখবর ◈ নির্বাচনকালীন পদায়ন নভেম্বরেই, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভোটের তারিখ ঘোষণা ◈ ঐকমত্য কমিশনের প্রতিবেদন সবার জন্য উন্মুক্ত করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ◈ শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন যাঁরা, তাঁরা তাঁর অতীত ভুলে যাচ্ছেন—শফিকুল আলম ◈ বিশ্বব্যাংকে সালিশি মামলা করেছেন এস আলম, আবেদনে যা আছে

প্রকাশিত : ২৭ অক্টোবর, ২০২৫, ০৬:১৬ বিকাল
আপডেট : ২৯ অক্টোবর, ২০২৫, ০৫:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যে ১০ ভুলে শেনজেন ভিসা বাতিল হয়, ভিসা সফলতা পেতে যা করবেন

শেনজেন ভিসা নিয়ে শেনজেনভুক্ত দেশগুলোতে ঘুরতে, ব্যবসা বা অন্য যে কোনো কারণে অনেকেই যেতে চান। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষের ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান বা বাতিল করা হয়। শুধুমাত্র ২০১৭ সালেই ১৭ লাখ আবেদন বাতিল করা হয়েছে। সাধারণত কিছু ভুলের কারণে এমন হয়। যদি একটু সতর্কতা অবলম্বন করা যায় তাহলে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আজ জেনে নিন ভিসা আবেদন বাতিল হওয়ার ১০ কারণ এবং ভিসা পেতে সহায়ক ১০ কারণ—

১. জাল বা নকল কাগজপত্র জমা দেওয়া

জাল বা নকল কাগজপত্র যেমন—পাসপোর্ট, ভুয়া ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা ভুয়া চাকরির চিঠি জমা দিলে আপনার শেনজেন ভিসার সুযোগ নষ্ট হতে পারে। ভিসা কর্মকর্তারা স্ক্যানার ও সরাসরি যাচাইয়ের মাধ্যমে কাগজপত্র পরীক্ষা করেন।

এড়ানোর উপায়: শুধুমাত্র অফিশিয়াল, যাচাইযোগ্য নথি জমা দিন এবং কোনো দুর্বলতা থাকলে তা প্রকাশ করুন।

২. ভ্রমণের উদ্দেশ্য পরিষ্কার না থাকা

কেবল ‘পর্যটন’ বা ‘ব্যবসা’ উল্লেখ করাই যথেষ্ট নয়। কর্তৃপক্ষ আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং এর শর্তাবলী সম্পর্কে স্পষ্ট বিবরণ দেখতে চায়। অস্পষ্ট ব্যাখ্যা ভিসা বাতিলের কারণ হতে পারে।

এড়ানোর উপায়: ভ্রমণের একটি বিশদ পরিকল্পনা, হোটেল বুকিং এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক সহায়ক নথি জমা দিন।

৩. পর্যাপ্ত আর্থিক সক্ষমতা দেখাতে না পারা

ভিসা কর্মকর্তারা পরীক্ষা করেন যে আপনার আর্থিক অবস্থা আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না। পর্যাপ্ত তহবিল না থাকা বা আয়ে অসঙ্গতি থাকলে আপনার ভ্রমণ খরচ বহন করার ক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হতে পারে।

এড়ানোর উপায়: নিয়মিত ও স্থিতিশীল আয় বজায় রাখুন, হাতে ২০-৩০% অতিরিক্ত টাকা জমান এবং গত ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্টের সাথে চাকরি বা ট্যাক্স সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দিন।

৪. ভিসার মেয়াদের অতিরিক্ত সময় অবস্থান

শেনজেন স্বল্প-কালীন ভিসা অনুযায়ী ১৮০ দিনের মধ্যে ৯০ দিন পর্যন্ত থাকার অনুমতি দেয়। এই সীমা অতিক্রম করলে ভবিষ্যতে ভিসা বাতিল বা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।

এড়ানোর উপায়: আপনার ভ্রমণ সাবধানে পরিকল্পনা করুন এবং নিয়ম মেনে চলতে অফিশিয়াল শেনজেন স্টে ক্যালকুলেটর ব্যবহার করুন।

৫. এসআইএস-এ নাম থাকা

আপনি যদি আগে কোনো দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে থাকেন, ভিসার মেয়াদের অতিরিক্ত সময় থেকে থাকেন বা আপনার নামে অন্য কোনো আইনি সমস্যা থাকে, তাহলে আপনার নাম শেনজেন ইনফরমেশন সিস্টেমে (এসআইএস) থাকতে পারে। এটি আপনার ভিসা অনুমোদনে বাধা দিতে পারে।

এড়ানোর উপায়: আবেদনের আগে আপনার অতীত অভিবাসন সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান করুন এবং নিশ্চিত করুন যে এসআইএসে আপনার রেকর্ড পরিষ্কার আছে।

৬. জনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি হওয়া

সাধারণ অপরাধের রেকর্ড বা সংক্রামক রোগের মতো স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকলে ভিসা বাতিল হতে পারে। কর্তৃপক্ষ জননিরাপত্তার সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলো মূল্যায়ন করে।

এড়ানোর উপায়: আবেদন করার সময় চারিত্রিক সার্টিফিকেট বা চিকিৎসা সংক্রান্ত ছাড়পত্র জমা দিন।

৭. বৈধ ভ্রমণ স্বাস্থ্য বীমা না থাকা

শেনজেন এলাকার সকল ভ্রমণকারীকে অবশ্যই কমপক্ষে ৩০ লাখ ৬৩ হাজার ১৫০ টাকা কভারেজ সহ স্বাস্থ্য বীমা নিতে হবে। বৈধ বীমার অভাব স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হওয়ার কারণ হতে পারে।

এড়ানোর উপায়: ভিসার জন্য আবেদন করার আগেই ভ্রমণ স্বাস্থ্য বীমা কিনে ফেলুন।

৮. ভুল তথ্য দেওয়া

আবেদনের তথ্য অবশ্যই বাস্তবসম্মত এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। অসামঞ্জস্যপূর্ণ বা বিভ্রান্তিকর তথ্যকে সন্দেহজনক বলে মনে করা হয় এবং এটি বাতিলের কারণ হতে পারে।

এড়ানোর উপায়: নিশ্চিত করুন যে সব কাগজপত্র নির্ভুল, সত্য এবং আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

৯. দেশে ফেরার উদ্দেশ্য অস্পষ্ট থাকা

আবেদনকারীরা যখন দেশে ফেরার তারিখ পরিষ্কারভাবে দেখাতে বা নিজ দেশের সঙ্গে তাদের শক্তিশালী সম্পর্ক প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন, তখন অনেক ভিসা বাতিল হয়। এটি বাতিল হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ।

এড়ানোর উপায়: আপনার প্রত্যাবর্তনের তারিখ স্পষ্টভাবে বলুন এবং নিজ দেশের সাথে আপনার বন্ধন প্রমাণ করার জন্য সহায়ক নথি (যেমন— পরিবার, সম্পত্তি, চাকরি) দিন।

১০. জরুরি ভিসার জন্য যথেষ্ট কারণ দেখাতে না পারা

জরুরি বা মানবিক কারণে ভিসার জন্য স্পষ্ট এবং বাধ্যতামূলক কারণ প্রয়োজন। যথাযথ কারণের অভাব থাকলে আবেদন বাতিল হতে পারে।

এড়ানোর উপায়: জরুরি ব্যবসা, চিকিৎসা বা মানবিক ভ্রমণ প্রয়োজনের জন্য পর্যাপ্ত প্রমাণযুক্ত নথি দিন। সূত্র: ঢাকা পোস্ট 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়