ড. ইউনূসকে সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের আমন্ত্রণ অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের আমন্ত্রণ কবুল করেছেন। অতি সম্প্রতি ক্রাউন প্রিন্স প্রফেসর ইউনূসকে সৌদি আরব সফরের আমন্ত্রণ জানান। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র এটা নিশ্চিত করেছে। সৌদি আরব-পাকিস্তান সামরিক চুক্তির পটভূমিতে এই আমন্ত্রণের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ই সেপ্টেম্বর সৌদি আরবে দুই দেশের মধ্যে ওই ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর পরপরই পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ এক সাক্ষাৎকারে জানান, অন্য দেশগুলোর এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার দরজা খোলা আছে। চুক্তিটিকে ন্যাটোর সঙ্গেও তুলনা করেছেন তিনি।
চুক্তিতে বলা হয়েছে, কোনো দেশের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের আগ্রাসনকে উভয় দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন হিসেবে গণ্য করা হবে এবং দু’টি দেশ একসঙ্গে এর মোকাবিলা করবে। খাজা আসিফ স্পষ্ট করে বলেছেন, যদি পাকিস্তান বা সৌদি আরব যেকোনো দিক থেকে আক্রান্ত হয়, তবে তা উভয় জাতির ওপর আক্রমণ বলে বিবেচিত হবে, এবং আমরা একসঙ্গে এর জবাব দেব। এই প্রতিরক্ষা চুক্তি সৌদি-পাকিস্তান সম্পর্কের আট দশকের ঐতিহ্যবাহী অংশীদারিত্বের ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। এটি দুই দেশের ভ্রাতৃত্ব, ধর্মীয় সংহতি, যৌথ কৌশলগত স্বার্থ এবং ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা সহযোগিতার প্রতিফলন। বিশেষজ্ঞরা এই চুক্তিকে ঐতিহাসিক এবং নজিরবিহীন বলে বর্ণনা করেছেন। তারা বলছেন, এটি দু’দেশের সম্পর্ককে একটি আনুষ্ঠানিক নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতিতে উন্নীত করেছে।
বিশেষজ্ঞরা আরও উল্লেখ করেছেন যে, এই চুক্তিটি শুধুমাত্র দু’দেশের সম্পর্ককেই শক্তিশালী করবে না, বরং দক্ষিণ এশিয়া এবং ইসলামিক বিশ্বের জন্যও এর গভীর তাৎপর্য রয়েছে। কারণ এর মাধ্যমে পাকিস্তান আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য সবচেয়ে সক্ষম মুসলিম শক্তি হিসেবে নিজেদের অবস্থান আরও মজবুত করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই চুক্তিটি প্রমাণ করে যে, ক্রমবর্ধমান হুমকির মুখে সৌদি আরব পাকিস্তানকে তাদের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে বিশ্বাস করে। এমন পরিস্থিতিতে সৌদি আরবে ড. ইউনূসের সফর বহুমাত্রিক তাৎপর্য বহন করে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। উৎস: মানবজমিন।