শিরোনাম
◈ জুলাই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে হলে সব ধর্মের মানুষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ ব্যক্তি বিবেচনায় এলএনজি কেনা হচ্ছে না, পিটার হাসের কোম্পানি প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা ◈ বিসিএস পরীক্ষা: কর্মসূচির সময় পরিবর্তন করল জামায়াত ◈ চশমা ছাড়াই স্পষ্ট দেখা সম্ভব, কার্যকর আই ড্রপ উদ্ভাবন ◈ যেসব বিষয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে নতুন বেতন কাঠামোতে  ◈ আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা থেকে ইসরা‌য়েল‌কে বহিষ্কারের দাবি জানা‌লেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী ◈ কূটনৈতিক সংকট ছাপিয়ে বাণিজ্যে ভারত–বাংলাদেশের পারস্পরিক নির্ভরশীলতা বাড়ছে ◈ বিএনপিকে চাপে রাখতে জামায়াতের যুগপৎ আন্দোলন ◈ এই সরকারও পুরোনো পথে, প্রশাসনে পদ ছাড়াই পদোন্নতি ◈ এ‌শিয়া কাপ, রা‌তে আফগানিস্তা‌নের মু‌খোমু‌খি বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ২৪ জুলাই, ২০২৫, ০৬:২৯ বিকাল
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৭:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : মনিরুল ইসলাম

গোপালগঞ্জে সহিংসতার ঘটনায় সাবেক বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিশন গঠন

মনিরুল ইসলাম: গোপালগঞ্জ জেলা সদরে গত ১৬ জুলাই ২০২৫ তারিখে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বনির্ধারিত জনসভাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সহিংসতা, সরকারি স্থাপনায় হামলা এবং নাগরিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার ঘটনায় একটি ছয় সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিশন গঠন করেছে সরকার।

দ্য কমিশন অব ইনকোয়ারি অ্যাক্ট ১৯৫৬ এর ধারা ৩-এর অধীনে গঠিত এই তদন্ত কমিশনের নেতৃত্বে আছেন সাবেক বিচারপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আবু তারিক। অন্যান্য সদস্যরা হলেন—

  • খন্দকার মো. মাহাবুবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (জননিরাপত্তা বিভাগ)
  • মো. সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব ও সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ (আইন ও বিচার বিভাগ)
  • ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহিদুর রহমান ওসমানী, কমান্ডার, ২১ পদাতিক ব্রিগেড
  • সরদার নূরুল আমিন, অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ও পরিচালক, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল
  • ড. সাজ্জাদ সিদ্দিকী, চেয়ারম্যান, শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

এই কমিশন গঠনের পেছনে আগে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশ কার্যকর ভূমিকা রাখে।

কমিশনের কার্যপরিধি:

১. ঘটনার অন্তর্নিহিত কারণ নিরূপণ

২. জনসভায় আক্রমণের জন্য দায়ী ব্যক্তি/সংগঠন শনাক্ত

৩. দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সুপারিশ

৪. হামলা ও নিরাপত্তা ব্যাহত হওয়ার ঘটনাবলি বিশ্লেষণ

৫. ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে করণীয় নির্ধারণ

কমিশনের প্রাথমিক তথ্যমতে, ওইদিন নিষিদ্ধ ঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা পরিকল্পিতভাবে এনসিপি-র জনসভায় হামলা চালায়। পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন ১৪৪ ধারা এবং কারফিউ জারি করে। ইন-এইড-টু সিভিল পাওয়ার অনুযায়ী সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। ওই সহিংসতায় হতাহতের ঘটনাও ঘটে।

প্রয়োজনে তদন্ত কমিশন নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ তাদের প্রশাসনিক ও লজিস্টিক সহায়তা প্রদান করবে। কমিশন তিন সপ্তাহের মধ্যে সুপারিশসহ চূড়ান্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে দাখিল করবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়