২০২৫ সালের বৈশ্বিক পাসপোর্ট সূচকে চার ধাপ এগিয়ে ৯৩তম অবস্থানে এসেছে বাংলাদেশ। ২০২৪ সালে অবস্থান ছিল ৯৭তম। যদিও সূচকে উন্নতি হয়েছে, তবুও বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা ছাড়া ভ্রমণযোগ্য দেশের সংখ্যা ৪২ থেকে কমে এখন ৩৯-এ দাঁড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান Henley & Partners এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তারা আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থা IATA–এর তথ্য ব্যবহার করে এই সূচক তৈরি করে থাকে, যেখানে ২২৭টি গন্তব্যে কোনো দেশের পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই, অন-অ্যারাইভাল ভিসা কিংবা ই-ভিসা সুবিধা পান কি না—তা বিবেচনায় নেওয়া হয়।
২০২৪ সালে বাংলাদেশি নাগরিকরা ৪২টি দেশে ভিসা ছাড়াই প্রবেশ করতে পারতেন। কিন্তু নতুন সূচকে দেখা গেছে, এখন সেই সংখ্যা কমে ৩৯টিতে দাঁড়িয়েছে। ফলে ভিসা ছাড়া ভ্রমণের ক্ষেত্রে সুযোগ কিছুটা সীমিত হয়ে পড়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট মালদ্বীপের। আর বৈশ্বিক তালিকায় শীর্ষে রয়েছে সিঙ্গাপুর—যাদের পাসপোর্টধারীরা ১৯৩টি দেশে আগাম ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারেন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া; এ দুই দেশের নাগরিকরা ১৯০টি দেশে অনায়াসে প্রবেশাধিকার পান।
যেসব দেশে বাংলাদেশিরা ভিসা ছাড়া যেতে পারেন (২০২৫):
বাহামাস, বারবাডোস, ভুটান, বলিভিয়া, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস, বুরুন্ডি, কম্বোডিয়া, কেপ ভার্দে, কোমোরোস, কুক আইল্যান্ডস, জিবুতি, ডোমিনিকা, ফিজি, গাম্বিয়া, গিনি-বিসাউ, হাইতি, জামাইকা, কেনিয়া, কিরিবাতি, মাদাগাস্কার, মালদ্বীপ, মাইক্রোনেশিয়া, মন্টসেরাট, মোজাম্বিক, নেপাল, নিউই, রুয়ান্ডা, সামোয়া, সেশেলস, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, শ্রীলঙ্কা, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডিনস, তিমোর-লেস্তে, তোঙ্গা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, তুভালু এবং ভানুয়াতু।