হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা আহ্বান করেছে সরকার। বুধবার (২৮ মে) আইন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ড. মো. রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বানো জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার বিষয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিলম্বের অভিযোগ করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এই অভিযোগ বস্তুনিষ্ঠ নয়। এ ধরনের মামলা প্রত্যাহারের লক্ষ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সভাপতিত্বে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে গঠিত হওয়ার পর থেকে নিয়মিত সভায় মিলিত হচ্ছে। এসব সভায় মামলা প্রত্যাহার সংক্রান্ত জেলা পর্যায়ের কমিটি এবং আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর কার্যালয় থেকে পাঠানো তালিকা ও কাগজপত্র পর্যালোচনা করে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হচ্ছে। কমিটি এখন পর্যন্ত ১৬টি সভায় ১১ হাজার ৪৪৮টি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে এবং এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, মামলা প্রত্যাহারের কার্যক্রমকে আরও বেগবান করার লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির কাছে রাজনৈতিক দলগুলো থেকেও হয়রানিমূলক মামলার তালিকা প্রদানের সুযোগ রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ২০২৫ সালের ১০ থেকে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে প্রায় ১৬ হাজার মামলার এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল তারিখে ১ হাজার ২০০টি মামলার তালিকা দেয়। এসব মামলার মধ্যে প্রায় অর্ধেক এরইমধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির স্বীয় উদ্যোগে প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক দল দুটির দেওয়া তালিকার সঙ্গে মামলা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র (এজাহার এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে চার্জশিট) প্রেরণ না করায় অন্যান্য মামলা প্রত্যাহারে বিলম্ব হচ্ছে। অন্যদিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ মাত্র কয়েকদিন আগে (২০ মে, ২০২৫) ৪৪টি মামলা প্রত্যাহারের তালিকা দিয়েছে। এসব মামলার কাগজপত্র পরীক্ষা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
দ্রুত প্রত্যাহারের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের পাঠানো সব মামলার এজাহার এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে চার্জশিট আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির কাছে অবিলম্বে দাখিলের অনুরোধ করা হচ্ছে।