নিজস্ব প্রতিবেদক : ইন্টারনেটের দাম কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে আইআইজি ও এনটিটিএন পর্যায়ে দাম কমানো হয়েছে। আগামী দুই এক মাসের মধ্যে গ্রাহক তার সুফল পাবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। শনিবার রাজধানীর বিটিআরসি ভবনে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ইন্টারনেটের দাম কীভাবে আরও কমানো যায়, জনগণের ব্যবহার উপযোগী করা যায় তা নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষায় ইন্টারনেট ব্যবহারে আমরা অনেক এগিয়ে গেছি, তবে কৃষি ও স্বাস্থ্যে অনেক পিছিয়ে রয়েছি। এই দুই খাতে ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়াতে হবে।
ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, দেশে বন্যা ও ঝড়ের সময় মোবাইল ইন্টারনেট ব্যাহত হয়। বন্যা ও ঝড় আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। তবে সেই সময়ে ইন্টারনেট সেবা কীভাবে নিশ্চিত করা যায় তা ভাবতে হবে। দুর্যোগের সময় কীভাবে টেলিযোগাযোগ যেন নির্বিঘ্ন থাকে, সেই উদ্যোগ নিতে হবে।
জুলাই অভ্যুত্থানে ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা তখন জানতে পারিনি কি হয়েছিলো। পরে ইন্টারনেট আসার পরে আমরা জেনেছি। ইন্টারনেটকে নাগরিক অধিকার হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়া করা হয়েছে। এটি এই সরকারের একটি বড় অর্জন।
উপদেষ্টা বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অনেক দেশি উদ্ভাবক সুযোগ-সুবিধার অভাবে দেশ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিনই এই খাতের নতুন নতুন ইনোভেশনের খবর শুনি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, বিটিআরসি চেয়ারম্যান (অব.) মেজর জেনারেল এমদাদ উল বারী, আইসিটি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।