শিরোনাম
◈ সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চে পুলিশের বাধা, নগর ভবনের সামনে পুনরায় অবস্থান নিলেন ইশরাক সমর্থকরা ◈ বৈদেশিক আয় পাঠাতে খরচ বেড়েছে তিনগুণ: সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশি শ্রমিকরা ◈ সাবেক এমপি জেবুন্নেসা আফরোজ গ্রেফতার ◈ ভারত সরকারের কড়া অবস্থানে বিপাকে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতারা ◈ গভীর রাতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বাসার সামনে নুরুল হক নুর লাইভে এসে যা বললেন ◈ অবৈধ ভারতীয়দের নিয়ম মেনে ফেরত পাঠাবে বাংলাদেশ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ মসজিদভিত্তিক শিক্ষা প্রকল্প: বকেয়া বেতন না পেলে সরব না, দুই ঘণ্টার আল্টিমেটাম ◈ ছয় শিল্প গ্রুপের সম্পদের সন্ধান আরব আমিরাতে: অর্থ ফেরাতে সরকারের জোরালো কূটনৈতিক ও আইনি পদক্ষেপ ◈ ইশরাকের শপথ দাবিতে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা, আসিফ মাহমুদের পদত্যাগের স্লোগান ◈ “দায়িত্ব পালনে ন্যায়ের পথে, একাকীত্বেও অনড় শফিকুল আলম”

প্রকাশিত : ১৭ মে, ২০২৫, ১২:৩৮ দুপুর
আপডেট : ১৭ মে, ২০২৫, ০৪:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : মনিরুল ইসলাম

যে প্রস্তাব দিতে গিয়ে বিপদে পড়েছিলেন ড. ইউনূস! (ভিডিও)

মনিরুল ইসলাম : মাইক্রোক্রেডিট ব্যাংক মানুষকে উদ্যোক্তা হতে লোন দেবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘মানুষ মাত্রই উদ্যোক্তা, সবাই উদ্যোক্তা হবে। এতে বেকারত্ব কমবে, কেউ আর চাকরি খুঁজবে না।’

আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় আগারগাঁওয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দেন। তবে উন্মোচিত ফলকে কোথাও তার নাম উল্লেখ করা হয়নি। 

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘মাইক্রোক্রেডিট নামে আলাদা ব্যাংক করতে হবে। এজন্য নতুন ব্যাংক আইন তৈরি প্রয়োজন।’

ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘মাইক্রোক্রেডিট ব্যাংক হবে সামাজিক ব্যবসার ব্যাংক, এটা বাণিজ্যিক ব্যাংক হবে না। মালিক এখান থেকে মুনাফা অর্জন করতে পারবে না।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে মাইক্রো ক্রেডিট ব্যাংকিং ব্যবস্থার কিছু গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন তিনি।

তিনি বলেন, “এরকম একটা প্রস্তাব একটা দেশকে দিতে গিয়ে বিপদেও পড়েছি। তারা বহু বিরাট বিরাট মাইক্রো ক্রেডিট প্রোগ্রাম করেছে, সারা দেশজুড়ে করেছে, বিশাল দেশ। এত সুন্দর কাজ করছে, এত বড় বড় কাজ করছে—তোমরা ব্যাংকিং লাইসেন্স দাও না কেন, কী অভাব তাদের? বলে যে না, এটা মাইক্রো ক্রেডিট, বাইরে ওরা পারবে না। আমি বললাম, দিয়ে দেখো তো একবার।”

তিনি আরও বলেন, “সেটা থেকে প্রস্তাব দিলাম—১০টা টপ ব্যাংক মাইক্রো ক্রেডিট অর্গানাইজেশন, যেগুলো তোমরা ইতিমধ্যে লাইসেন্স দিয়েছো মাইক্রো ক্রেডিট অপারেট করার জন্য, এখন বিশাল আকারে করছে—তাদেরকে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যাংকিং লাইসেন্স দাও। অবশেষে তারা শুনল। এরকম চারটা কি পাঁচটা ব্যাংককে দিল, বিশাল বিশাল ব্যাংক হয়ে গেল সেগুলো। এত বড় হলো, তড়িৎগতিতে তারা দেশে চলতে আরম্ভ করল।”

তবে এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভুলের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, “আমি তাড়াতাড়ি বললাম, তোমরা লাইসেন্স দিয়েছো ভালো করেছো, কিন্তু একটা কথা খেয়াল করোনি—আমি তো মাইক্রো ক্রেডিট ব্যাংক করতে বলেছিলাম। তোমরা তো একটা কনভেনশনাল ব্যাংক বানিয়ে ফেললে। লাইসেন্স ফুল ব্যাংকিং লাইসেন্স দিয়ে দিয়েছো। এটা মাইক্রো ক্রেডিট ব্যাংকিং লাইসেন্স—এই কাজ ছাড়া সে অন্য কাজ করতে পারে না।”

তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “এখন যেইমাত্র সে ব্যাংকিং লাইসেন্স পেয়েছে, বড় বড় ইনভেস্টর এসে হাজির হয়ে গেছে। হাজির হয়ে তাদেরকে পুরা ব্যাংক বানিয়েছে, সারা দেশজুড়ে এটা করতেছে। তো আমি বললাম, এটা ভুল হয়ে গেছে। সেই কথাটাই মনে করিয়ে দিচ্ছি এখানেও। আমরা যখন মাইক্রো ক্রেডিট ব্যাংকে লাইসেন্স দেব, পরিষ্কারভাবে বলতে হবে যে এই কাজের জন্যই লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে—কনভেনশনাল ব্যাংকিংয়ের জন্য লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে না। এটা আলাদা করে ফেলা।”

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়