এম.এ. লতিফ: [২] বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত রাজধানীর হাজারীবাগে তানিয়া আক্তার (৩৫) হত্যা মামলায় লেফটেন্যান্ট কর্নেল কুদ্দুসুর রহমানকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
[৩.১] পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে বুধবার কুদ্দুসুর রহমানকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাজারীবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মতিউর রহমান।
[৩.২] আসামির পক্ষে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে শুনানি করেন, রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গত ৩১ মে কুদ্দুসুর রহমানের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
[৪] তানিয়া ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। ২০১৭ সালে আজিজুর রহিমের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের কোনো সন্তান নেই। গত ৫ জানুয়ারি হাজারীবাগ থানাধীন মিতালী রোডে শাহিনের বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকা শুরু করেন তিনি। গত ১৯ জানুয়ারি তানিয়া ভাইয়ের বাসায় যান। রাতে নিজের ভাড়া বাসায় ফিরে যান। পরদিন তানিয়াকে তার মা ও ভাই ফোন দেন। কিন্তু ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তানিয়ার মা বাড়িওয়ালা শাহিনকে ফোন দেন। বাড়িওয়ালা তার রুমের সামনে গিয়ে অনেক ডাকাডাকি করেন। এ সময় রুমের ভিতর থেকে দরজা বন্ধ ছিল এবং ফ্যানের শব্দ শোনা যাচ্ছিল। বাড়িওয়ালা বিষয়টি তানিয়ার মাকে জানান। তারা সেখানে গিয়ে কোন সাড়া-শব্দ না পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা খুলে বাথরুম থেকে তানিয়ার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে।
[৫] এ ঘটনায় তানিয়ার ভাই তন্ময় হাসান নীদ ২২ জানুয়ারি হাজারীবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয় ফ্ল্যাটের মালিককে। পরে তদন্তে জানা যায়, এ ঘটনায় লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ কুদ্দুসুর রহমান জড়িত। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
এমএএল/এসসি/একে