খুররম জামান: [২] মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু: এ চ্যাম্পিয়ন অব ওয়ার্ল্ড পিস’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন। প্রতি দুই বছর পর পর সম্মানজনক বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
[৩] সেমিনারে মন্ত্রী বলেন, পদক দেওয়ার বিষয়ে একটি নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক জুরি বোর্ড গঠন করা হবে। সেই সঙ্গে একটি নীতিমালাও করা হবে। এ নীতিমালার আওতায় বাংলাদেশ ও বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত বা বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে কয়েকটি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পুরস্কার দেওয়া যাবে।
[৪] তিনি বলেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা, যুদ্ধ নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ ও অবদান রাখা, দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় পরিস্থিতিতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখা, টেকসই সামাজিক, পরিবেশগত ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজের সামগ্রিক কল্যাণ সাধন- এসব ক্ষেত্রগুলো পুরস্কার দেয়ার ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেয়া হবে।
[৫] মন্ত্রী স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের সৃষ্টিতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ ভূমিকা ও অবদানের কথা তুলে ধরেন। স্বাধীন বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে বঙ্গবন্ধুর প্রজ্ঞা ও দূরদর্শীতার কথা ব্যক্ত করেন।
কেজে/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :