ফরিদপুর প্রতিনিধি: [২] মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেছেন, ফরিদপুরের মধুখালী পঞ্চপল্লীতে প্রতিমার কাপড়ে আগুন লাগার সূত্র নিয়ে সন্দেহবশত নির্মাণ শ্রমিক দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা দুঃজনক ও হৃদয় বিদারক। এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। এই বাংলার মাটিতে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কার্যকর করা হবে। যা দেখে আগামীতে কেউ এমন অপরাধ করার সাহস যাতে না পায়।
[৩] বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার নওপাড়া চোপেরঘাট গ্রামে নিহত সহদরের বাড়িতে পরিবারের সাথে দেখা করে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
[৪] মন্ত্রী আরও বলেন, তবে এই ঘটনার পিছনে অন্য কোন চক্রান্ত থাকতে পারে। সুতারাং এই চক্রান্ত কারা, কেন করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল মঙ্গলবার মহাসড়ক অবরোধ করে পুলিশের উপর হামলার মধ্য দিয়ে তারা আবার আরেকটা ঘটনার জন্ম দিতে চেয়েছিল। এই দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ, কেউ ধর্য্যহারা হবেন না। প্রশাসন তদন্ত করে সকল দোষীদের আইনের আওতায় আনবে।
[৫] পরে তিনি ঘটনাস্থল ডুমাইন ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর পঞ্চপল্লী স্কুল ও মন্দির পরিদর্শন করেন।
[৬] এসময় জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামিম হক, সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আরিফসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
[৭] উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল রাতে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের পঞ্চপল্লীতে প্রতিমায় আগুন লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্দেহজনকভাবে বিক্ষুব্ধ কিছু লোক স্কুল রুমের মধ্যে হাত-পা বেঁধে মারপিটে দুই শ্রমিক নিহত হয়। এছাড়া আরো ৫ জন শ্রমিক আহত হয়। এ ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে ৪ প্লাটুন বিজিবিসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ান রাখা হয়েছে। সম্পাদনা: ইস্রাফিল ফকির
প্রতিনিধি/আইএফ
আপনার মতামত লিখুন :