সালেহ্ বিপ্লব: [২] এস আর শিপিং এর পক্ষ থেকে শুক্রবার গণমাধ্যমকে এ কথা জানানো হয়। এর আগে এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম জানিয়েছিলেন, এমভি আবদুল্লাহ ২২ এপ্রিল সকালে আল হারমিয়া বন্দরে পৌঁছাবে। শুক্রবার জানা গেছে, একদিন আগেই জাহাজটি দুবাই পৌঁছে যাবে।
[৩] সেখান থেকে দুজন নাবিক বিমানযোগে দেশে ফিরবেন। বাকিরা ফিরবেন জাহাজে করে, এই ২১ জন নিজেরাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
[৪] গত ৪ মার্চ ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ আল হারমিয়া বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল জাহাজটির। ১২ মার্চ দুপুরে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি। ২৩ নাবিককে জিম্মি করে জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যায় তারা।
[৫] গত ১৩ এপ্রিল রাতে এমভি আবদুল্লাহ থেকে নেমে যায় দস্যুরা। জাহাজটির মালিকপক্ষের বরাত দিয়ে আরটিভি জানায়, ২৩ নাবিক ও জাহাজটিকে মুক্ত করতে দস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝিয়ে দিয়েছেন তারা। ওইদিন বিকেলে একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ছুঁড়ে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে ব্যাগ তিনটি কুড়িয়ে নেন দস্যুরা।
[৬] দস্যুমুক্ত হয়ে শনিবার রাতেই সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। এরপর নিরাপদ জলসীমায় আনা পর্যন্ত জাহাজটিকে নিরাপত্তা দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ। একইসঙ্গে কাঁটাতারের নিরাপত্তা বেষ্টনী লাগানো হয় জাহাজের চারদিকে। প্রস্তুত করে রাখা হয় জাহাজে নিরাপত্তার জন্য সংরক্ষিত এলাকা সিটাডেল, ইমার্জেন্সি ফায়ার পাম্প এবং সাউন্ড সিগন্যাল।
[৭] এর আগে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল একই মালিকপক্ষের আরেক জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। পরবর্তীতে বিভিন্নভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :