মাসুদ আলম: [২] আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিষেধাজ্ঞার পরও রাজধানীসহ সারাদেশে অবৈধভাবে পণ্যবাহী পিকআপ-ট্রাকে যাত্রী বহন করছে চালক-হেলপাররা। এতে করে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। অকালেই প্রাণ হারাচ্ছেন অনেকেই। কম ভাড়ার আশায় পিকআপ ও ট্রাকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা।
[৩] সরেজমিনে ঈদের আগে ও পরে দেখা গেছে, পণ্যবাহী ট্রাক-পিকআপ ভ্যানে চলছে যাত্রী পরিবহন। স্বল্প আয়ের কর্মজীবীরা ঈদের যাত্রায় বাড়তি দামে বাসের টিকিট কিনতে না পেরে এসব যানবাহন বেছে নিয়েছিলেন। যাত্রী বহনরত প্রতিটি পিকআপ ছিলো শিশু ও নারী-পুরুষে বোঝাই, তিল ধারণের ঠাঁই ছিলো না কোথাও। মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের ন্যায় যাত্রী বহনকারী ওই সব ট্রাক-পিকআপ ভ্যান অনায়াসে মিলছে। এসব বাহনে যাতায়াতে যাত্রীদেরও আগ্রহের কমতি নেই।
[৪] যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাসে অনেক সময় সিট পাওয়া যায় না। বাসের তুলনায় ভাড়া কম ও দ্রুত সময় গন্তব্যে পৌঁছানো যায়। এছাড়া পিকআপ ও ট্রাক খোলামেলা। বাতাস লাগবে। এসব কারণে আমরা পিকআপে চলাচল করছি।
[৮] বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত সাধারণ মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত না হবে; গণপরিবহন সংকট না কাটিয়ে উঠতে না পারবে- ততক্ষণ পর্যন্ত মানুষ পিকআপ ও ট্রাকে যাতায়াত করবে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :