এম.এ. লতিফ: [২] সোমবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালতে ২০১৫ সালের পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে যৌন হয়রানির ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ছিলো। কিন্তু, এদিন বিচারক ছুটিতে থাকায় এবং কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির না হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক শাহাদাত হোসেন আগামী ২০ মে সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
[৩] ২০১৫ সালের পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় কয়েকজন নারীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা করেন। শাহবাগ থানার পুলিশ মামলাটি কয়েকদিন তদন্ত করার পর তদন্তভার ডিবি পুলিশকে দেয়া হয়।
[৪] ১৭ মে, ২০১৫ মামলার একমাস পর তৎকালীন পুলিশ প্রধান একেএম শহীদুল হক ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ভিডিও থেকে ৮ জন যৌন হয়রানিকারীকে শনাক্ত ও তাদের ছবি পাওয়ার কথা জানান। সে সময় শনাক্তকৃতদের ধরিয়ে দিতে ১ লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করে পুলিশ। কিন্তু পরবর্তীতে তাদের নাম ঠিকানা না পাওয়ায় ৯ ডিসেম্বর, ২০১৫ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই দীপক কুমার দাস আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে শনাক্তকৃত আসামিদের মধ্যে মো. কামাল (৩৫) গ্রেপ্তার হলে তাকে প্রথমে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মামলাটি পুনঃতদন্তের আবেদন করা হয়। ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ঢাকার ৩ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল মামলাটি পুনঃতদন্তের আদেশ দেন। পুনঃতদন্ত শেষে ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৬ পিবিআইয়ের পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক একমাত্র আসামি কামালকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ১৯ জুন, ২০১৭ ঢাকার ৩ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার ওই আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। ইতিমধ্যে মামলাটির ৩৪ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ৯ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
[৫] গত ২৩ জানুয়ারি, ২০২৪ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত ৩১ জানুয়ারি রায়ের তারিখ ধার্য করেন এবং পরবর্তীতে রায়ের তারিখ পিছিয়ে ১৩ ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়। ১৩ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করার আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটি রায় থেকে উত্তোলন করে সাক্ষীর জন্য রাখা হয়। মামলার একমাত্র আসামি কামাল হাইকোর্ট থেকে পাওয়া জামিনে রয়েছেন। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
আপনার মতামত লিখুন :