বদরুল হক, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম): [২] মুক্ত হয়েছে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটিতে থাকা ২৩ নাবিকই সুস্থ রয়েছেন।
[৩] কেএসআরএম গ্রুপের ডিপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহরিয়ার জাহান রাহাত এ তথ্য জানান।
[৪] তিনি আরও জানান, ঈদের আগেই নাবিকদের ফিরিয়ে আনার কথা ছিল। কিন্তু এর সময় পরিবর্তন হয়। অতীতে জাহান মণির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দ্রুত সময়ে ২৩ নাবিককে মুক্ত করা হয়।
[৫] তিনি জানান, মধ্যরাতে ২৩ নাবিক নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ‘এমভি আবদুল্লাহ’। পরে মুক্ত হওয়া ২৩ নাবিককে বিমানে চট্টগ্রামে নেয়া হবে। চট্টগ্রামে পৌঁছানের পর কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে তারা ফিরবেন স্বজনদের কাছে। আর উদ্ধার হওয়া জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ যাবে দুবাইয়ে। সেখানে ওই জাহাজে যোগ দেবেন নতুন নাবিকরা।
[৬] উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এর আগে, ২০১০ সালে একই গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজ এমভি জাহান মণি ছিনতাই হওয়ার তিন মাস পর মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে এনেছিল গ্রুপটি। আবার কোনো জাহাজ ছয় থেকে আট মাস পর মুক্ত হওয়ার নজির রয়েছে। এদিক থেকে এবার বেশ দ্রুতই মুক্তিপণের আলোচনা হয়।
[৭] জানা গেছে, শনিবার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় মুক্তিপণের ডলার ভর্তি ৩টি ব্যাগ জলদস্যুদের হাতে পৌঁছালে নাবিকসহ জাহাজটি মুক্ত করা হয়। মুক্ত হয়ে মধ্যরাতে ২৩ নাবিক নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ‘এমভি আবদুল্লাহ’। জাহাজের চারপাশে একাধিক আন্তর্জাতিক যুদ্ধজাহাজ রয়েছে বলে জানা গেছে।
[৮] এ দিকে নাবিকদের মুক্ত হওয়ার খবরে স্বজনদের মধ্যে চলছে খুশির আমেজ। তার মধ্যে এমভি আবদুল্লাহতে থাকা অয়েলার শামসুদ্দিন স্ত্রী রিমা আক্তার বললেন, ‘আমার স্বামী ভোর রাত ৫টায় ফোন দিয়ে বলেন, আমাদের মুক্তি দিয়েছে। আগামী ৬/৭ দিনের মধ্যেই দেশে ফিরিয়ে আসবো। এ কথা শুনে অত্যন্ত খুশি হই এবং মহান আল্লাহর কাছেই শুকরিয়া আদায় করছি।’
প্রতিনিধি/একে
আপনার মতামত লিখুন :