সালেহ্ বিপ্লব: [২] পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, ভারতের আসন্ন নির্বাচনের পর সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরটি ঠিক কবে হবে তা নিয়ে সরকারি পর্যায়ে এখনও আলোচনা হয়নি।
[৩] কূটনৈতিক সূত্র জানাচ্ছে, ভারত সফরের মধ্যদিয়েই দ্বিপাক্ষিক সফর শুরু করবেন শেখ হাসিনা। এরপর যাবেন চীন। এশিয়ার দুই অর্থনৈতিক পরাশক্তির সঙ্গে বড় পরিসরে সম্পৃক্ত হওয়ার লক্ষ্য সামনে রেখেই সাজানো হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি ও বেইজিং সফর।
[৪] এবার সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বিদেশ সফর ছিলো ফেব্রুয়ারিতে, তিনি জার্মানিতে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নেন।
[৫] কূটনৈতিক সূত্র বলছে, জুনে ভারত সফর হওয়ার সম্ভাবনা জোরালো। দেশটির নির্বাচন ১৯ এপ্রিল শুরু হয়ে ১ জুন শেষ হবে। ভোট গণনা করা হবে ৪ জুন।
[৬] প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন জোট পার্লামেন্টের নির্বাচনে প্রায় তিন-চতুর্থাংশ আসনে জয়লাভ করতে পারে বলে এক জরিপে উঠে এসেছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ২০১৪ সালে প্রথম ক্ষমতায় আসা ৭৩ বছর বয়সী মোদি আবারও নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
[৭] সূত্র জানাচ্ছে, পুনর্নির্বাচিত হলে নরেন্দ্র মোদি তার শপথ অনুষ্ঠানে দক্ষিণ এশিয়া ও বিমসটেকের সদস্য দেশগুলোর সরকার প্রধানদের আমন্ত্রণ জানাতে পারেন।
[৮] সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বরে সাক্ষাত হয়েছে দুই শীর্ষনেতার। ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত জি-২০ লিডারস সামিটে অংশ নিতে অতিথি হিসেবে ভারত সফরকালে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন শেখ হাসিনা।
[৯] মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের বিষয়ে এরই মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
[১০] রাষ্ট্রদূত বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করে আগামী জুলাই মাসে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানান। প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।
[১১] রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বাংলাদেশে চীনা কোম্পানিগুলোর বৃহত্তর বিনিয়োগ এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে চীনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও জনগণ থেকে জনগণে যোগাযোগের ক্ষেত্রে উন্নয়নের সম্ভাবনা তুলে ধরেন। জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন চীন সফর এই বিষয়গুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।