শিরোনাম
◈ আমদানি-রপ্তানিতে এনবিআরের নতুন নিয়ম: বাধ্যতামূলক অনলাইন সিএলপি দাখিল ◈ জুলাই স্মরণে শহীদ মিনারে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন (ভিডিও) ◈ জুলাই বিদ্রোহ: কোটা সংস্কার থেকে গণঅভ্যুত্থান ◈ ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা বললেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ◈ ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন ◈ ১৮ জুলাই নতুন দিবস ঘোষণা ◈ ডিসি-এসপি কমিটি ও ইভিএম বাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নতুন নীতিমালা জারি করলো ইসি ◈ বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স: কীভাবে পাবেন, কী কী শর্ত মানতে হবে? ◈ এবার থাইল্যান্ড থেকে ভারতগামী বিমানে ১৬ টি সাপ, এরপর যা ঘটল ◈ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফোনালাপ নিয়ে এবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্তা

প্রকাশিত : ২৬ জুন, ২০২২, ০৯:২৯ রাত
আপডেট : ২৬ জুন, ২০২২, ০৯:২৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পদ্মা সেতু আমাদের আত্মবিশ্বাসের প্রতীক: সংসদে হানিফ

মনিরুল ইসলাম: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফ বলেছেন এটি শুধু একটা রড, সিমেন্ট বা কংক্রিটের সেতু নয়- এর সঙ্গে আমাদের অনেক আবেগ জড়িয়ে আছে। 

রোববার (২৬ জুন) একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টাদশ অধিবেশনে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে হানিফ বলেন,দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ, যারা বছরের পর বছর সেতু না থাকার কারণে অবর্ণনীয় কষ্ট ও দুর্যোগ পোহাতে হয়েছে, তাদের কাছে এই সেতুটা আবেগের। এই সেতু আমাদের স্বপ্ন, অহংকার ও গর্বের।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, পদ্মা সেতু দেশের মানুষের সক্ষমতা ও প্রধানমন্ত্রীর সততা, দৃঢ়তা এবং ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জয়ের প্রতীক। পদ্মা সেতু আমাদের আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। এ সেতুর মাধ্যমে দেশের মানুষ নয়, বিদেশি দাতাগোষ্ঠী ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা স্থাপন হয়েছে। এটা আমরা নিজেরা করতে পারি, তা প্রমাণ হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা তার আন্তরিকতা ও সততার ওপর নির্ভরশীল। তিনি বিশ্বাস করেন বাঙালি তার লক্ষ্য অর্জন করতে পারে। কোনো শক্তি আমাদের নতজানু করে হার মানাতে পারবে না।

হানিফ বলেন, ভিশনারি নেতা না থাকলে কোনো জাতির উন্নতি হয় না। আমরা দেখেছিলাম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভিশন ছিল, লক্ষ্য ছিল বাঙালির জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। সেই স্বপ্ন নিজে দেখেছেন, আমাদের দেখিয়েছিলেন। সেটা বাস্তবায়ন করেছিলেন দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। এরপর বাঙালি আর ভিশনারি নেতৃত্ব দেখেনি, দ্বিতীয়বার দেখতে পারছি প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে।

তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় মাহাথির মোহাম্মদ ২৪ বছর ক্ষমতায় ছিলেন, ১৯৮১ সাল থেকে ২০০৪ পর্যন্ত। এই ভিশনারি নেতার কারণে দেশটি অর্থনৈতিকভাবে সফল করে উন্নত দেশে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। একইভাবে ১৯৫৬ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার মাথাপিছু আয় ছিল ১৫০ ডলারের নিচে। চরম দারিদ্রতার নিচে। ১৯৬২ সালে দেশটিতে দায়িত্ব নেওয়া পার্ক চুং-হি দায়িত্ব নেওয়ার পরে টানা ১৭ বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিলেন। তার ভিশনারি নেতৃত্বের কারণে দেশটি বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। একই সঙ্গে সিঙ্গাপুরের লি কুয়ান ইউ ১৯৫৯ সালে দায়িত্ব নিয়ে টানা ৩০ বছর সরকার পরিচালনা করেন। তার ভিশনারি নেতৃত্বের সিঙ্গাপুর পৃথিবীর অন্যতম ধনী রাষ্ট্র।

তিনি আরও বলেন, পঁচাত্তরের পরে শেখ হাসিনার সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পূর্বে যারা দেশের ক্ষমতা ছিলেন তারা ভোগ-বিলাসে মত্ত ছিলেন, তাদের ভিশন ছিল না, জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা ছিল না। দেশের উন্নয়ন করেননি। শেখ হাসিনার দায়িত্ব নেওয়ার পরে, তার ভিশনারি নেতৃত্বে বাংলাদেশ চরম দারিদ্রের দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে স্বীকৃত লাভ করেছে। বিশ্বের অর্থনীতিবিদরা বলছেন, উন্নয়নের এ ধারা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে ২০৩১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত রাষ্ট্রে পৌঁছাতে পারি বলছেন অর্থনীতিবিদরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়