আনিস তপন: [২] বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে বুধবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
[৩] স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নববর্ষকেন্দ্রীক সব অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করতে হবে। তাছাড়া নববর্ষকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ অপপ্রচার চালালে আইনগত ব্যবস্থা নেবে সরকার।
[৪] দেশব্যাপী বর্ষবরণ অনুষ্ঠান, বৈশাখী মেলা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানসমূহে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও আয়োজকরা সমন্বয় করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।
[৫] রমনার বটমূল, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল ও রবীন্দ্র সরোবরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সুইপিং, ডগ স্কোয়াডসহ বিশেষ নিরাপত্তা নেবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। একই সঙ্গে সব অনুষ্ঠানে গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ নজরদারি থাকবে।
[৬] বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে নববর্ষের মেলায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বাংলা একাডেমি ও বিসিক কর্তৃপক্ষ।
[৭] বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবী দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
[৮] এছাড়া নববর্ষ উপলক্ষে কূটনৈতিক এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও স্থাপনার বিশেষ নিরাপত্তা দেয়া হবে। নববর্ষ উদযাপনকালে ঢাকা মহানগরের অনুষ্ঠানসমূহে ও সারাদেশে অনুষ্ঠেয় অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অগ্নিনির্বাপক গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সসহ ফায়ার সার্ভিস টিম থাকবে। থাকবে মেডিকেল টিম।
[৯] বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে ইভটিজিং, ছিনতাই/পকেটমারসহ যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে মোবাইল কোর্ট ও গোয়েন্দা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ভুভুজেলা বাঁশি বাজানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারাগারসমূহে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। সম্পাদনা:সমর চক্রবর্তী
এসবি২