শিমুল চৌধুরী ধ্রুব: বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানসহ তরুণ প্রজন্মের কয়েকজন তারকাকে নিয়ে দুবাইয়ে আরাভ জুয়েলার্স উদ্বোধনের কারণে আলোচনায় উঠে আসেন জুয়েলার্সের কর্ণধার আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম। জানা যায়, ২০১৮ সালে রাজধানীর বনানীতে একটি ফ্ল্যাটে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কর্মকর্তা মামুন ইমরান খান খুনের মামলার আসামি তিনি। এ কারণেই তাকে নিয়ে আলোচনা।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ২২ মিনিটে ফেসবুক লাইভে এসে আরাভ বলেন, আমার অঢেল সম্পত্তি আছে ইন্ডিয়াতে, অঢেল। আমার দাদা যেহেতু ওইখানের নাগরিক ছিলেন এক সময়। তিনি ওখানেও বিয়ে করেছেন, এখানেও (বাংলাদেশ) করেছেন। সেই ক্ষেত্রে ইন্ডিয়াতে আমার যাতায়াত হয়। আমার কানাডিয়ান পাসপোর্ট আছে। শুধু কানাডিয়ান না, আমার আমেরিকার গ্রিন কার্ড আছে। অইটা কোনো ইস্যু না। একটা মানুষের ১০টা পাসপোর্ট থাকতে পারে। কারণ আমার টাকা আছে আমি আমেরিকান পাসপোর্ট কিনবো।
তিনি বলেন, আমি আজকে থেকে বিজনেস করি না। যারা আমাকে চেনে তারা সবাই জানে, আমি আগে থেকে বিজনেস করি। কলকাতাতেও আমার বিজনেস আছে। সেখানে আমার রেস্টুরেন্ট আছে, হসপিটাল আছে। আমি বিজনেস করি, আর বিজনেস করলে অবশ্যই আমার কাছে টাকা থাকবে। এমনতো না যে আমি রাস্তা থেকে উঠে এসেছি। আমি তিলে তিলে বিজনেস দাড় করিয়েছি। এমনতো না যে আমি কারো কাছ থেকে টাকা নিয়ে চলে এসেছি, চাঁদাবাজি করেছি। এমন কোনো রিপোর্ট নেই। আমি শুধু জীবনে একটা রিপোর্টই শুনেছি, যে আমি নাকি একটা মার্ডার করেছি। যেটা হয়েছে এটা অনেক বড় একটা চক্রান্ত। আমি জানি তারা কারা। আমি বললেতো তাদের কিছু করতে পারবো না। উপরে আল্লাহ আছে তিনিই দেখবেন।’
আরাভ আরো বলেন, খুনের সঙ্গে জড়িত না আমি। ওই দিন আমি ছিলাম না। মামলায় আমার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ তোলা হয়েছে। ২০১৮ সালে বনানীতে অফিস ছিল অমার। আপন বিল্ডার্স নামে রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা ছিল। ঘটনার দিন বাসায় ভাত খাচ্ছিলাম আমি। আমার সহকারী ফোনে অফিসে খুনের বিষয়টি জানায়। যিনি খুন হয়েছেন তিনি একজন পুলিশ কর্মকর্তা। সেটি একটি দুর্ঘটনা ছিল। আর আমার অপরাধ ছিল আমি ওই অফিসের মালিক। সেখানে একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠান ছিল। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ওই খুনের ঘটনা ঘটে। আমি খুনের ঘটনায় জড়িত না। জড়িত থাকলে পালিয়ে যেতাম। খুন হয়েছে আমার অফিসে। এ জন্য বিচার হলে মাথা পেতে নেব আমি। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব