হ্যাপী আক্তার: [২] বাস্তব জীবনে আমাদের মাঝে যদি হাসি থাকে তাহলে ইতিবাচকভাবে আমরা আমাদের মনের ভিতরের আবেগ কষ্টকে বের করে আনতে পারি। শুধু তাই নয়, হাসি এমন একটি চিহ্ন যা সমাজের চারপাশের লোকের সঙ্গে সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করে তোলে। তাই এই বাস্তব জীবনে সব সময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন। মন ভালো করার পিছনে খাবার একটা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এমন বেশ কিছু খাবার রয়েছে, যা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। যে সব খাবারগুলো 'ফিল-গুড' হরমোন নিঃসরণে সাহায্য করে।
[৩] জেনে নেওযা যাক 'ফিল-গুড' হরমোন নিঃসরণে সাহায্য করে এমন কয়েকটি খাবার সম্পর্কে
[৪] মাশরুম: ভিটামিন ডি-তে ভরপুর মাশরুম। এই খাবারের মধ্যে অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট উপাদানও রয়েছে। তাছাড়া ভিটামিন ডি মেজাজকে উন্নত করতে সাহায্য করে।
[৫] ডার্ক চকোলেট: মন খারাপকে দূরে সরিয়ে দিতে পারে ডার্ক চকোলেটের এক টুকরো। ডার্ক চকোলেটের মধ্যে ট্রাইপটোফান রয়েছে, যা আনন্দ ও মানসিক শান্তি এনে দিতে সাহায্য করে। তাই তো চকোলেট আইসক্রিম খেলে মন ভালো হয়ে যায়।
[৬] আমন্ড ও আখরোট: আমন্ড ও আখরোট খেলে মানসিক অবসাদ কমতে পারে। এই বাদাম অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর যা ডিপ্রেশনের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। মনকে ভাল রাখতে স্ন্যাকস হিসেবে বাদাম খেতে পারেন।
[৭] পালং শাক: শীতকালে সূর্যের আলো কম থাকায়, দেহে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি তৈরি হওয়ায় মানসিক অবসাদ বাড়ে। তবে, এই ঋতুতেই পালং শাক পাওয়া যায়, যা ফাইবার, ভিটামিন ই ও অন্যান্য পুষ্টিতে ভরপুর। এটি স্বাস্থ্যকর হরমোনের উৎপাদন ও কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
[৮] কলা: সেরোটোনিন ও ডোপামিনের মতো 'ফিল-গুড' হরমোনের উৎপাদন ও কার্যকারিতা বাড়াতে রোজ কলা খান। এতে ভিটামিন বি৬ রয়েছে, যা মেজাজকে উন্নত করতে সাহায্য করে।
[৯] ওটস: ব্রেকফাস্টে ওটস খেলে মন ভাল থাকতে পারে। এতে ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে, যা মেজাজকে উন্নত করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই খাবার রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে, যা আপনাকে এনার্জিতে ভরপুর রাখে।
[১০] ডাল: পুষ্টিতে ভরপুর ডালও আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের দেখভাল করতে পারে। প্রোটিন, ফোলেটের মতো পুষ্টি ডোপামিন ও সেরোটোনিনের মাত্রা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। মন খারাপকে দূরে রাখতে ভাল করে খাওয়া-দাওয়া করুন। সূত্র: টিভি৯বাংলা
এইচএ