সঞ্চয় বিশ্বাস : কর্মব্যাস্ততার মাঝে দিনের অধিকাংশ সময় আমাদের ডেস্কে বসে কাজ করতে হয়। কম্পিউটার বা ল্যাপটপের সামনে ঘাড় গুঁজে বসে থাকতে হয়। কেউ কেউ আবার বাড়িতে বসেই অফিসের কাজ করেন। সেক্ষেত্রে কেউ কেউ বিছানায় বা সোফায় বসে দীর্ঘক্ষণ কাজ করেন।
এই বিষয়ে চিকিৎসকরা বলছেন, ২ ঘণ্টা একটানা বসে থাকলে শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা এক ধাক্কায় প্রায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। সেই সঙ্গে শরীরের ফ্যাট ঝরানোর ক্ষমতা প্রায় ৯০ শতাংশ কমে যায়। ৪ ঘণ্টা একটানা বসে থাকলে রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা কমে যায়। তাই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকলে শুধু ঘাড়ে, কোমরে বা পিঠে ব্যথাই বাড়বে না, বাড়বে ডায়াবেটিস বা হার্টের সমস্যাও। তাই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আমাদের জীবনযাত্রায় কতগুলি পরিবর্তন আনা জরুরি।
মাঝে মাঝে বিরতি : দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করতে হলেও মাঝে মাঝে সময় বের করতে হবে। অন্তত দুই-তিন মিনিটের জন্য উঠে সামান্য পায়চারি করে নিতে হবে। তাতে ব্য়থা দূরে থাকতে পারে। তাছাড়া, টানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বহুগুণে বেড়ে যায়।
চেয়ারে নজর: বসে কাজ করার জন্য চেয়ারের দিকে নজর খুব প্রয়োজনীয়। পিঠ সোজা রেখে বসা যায় এমন চেয়ার বেছে নেওয়া উচিৎ। তবে কাজের জায়গায় সবসময় পছন্দমতো চেয়ার নাও পাওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে নিজেই বসার ভঙ্গির দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। পিঠ কুঁজো হয়ে আছে এমন ভঙ্গিতে দীর্ঘক্ষণ বসা যাবে না।
ভারী জিনিসে নয়: বেড়াতে যাওয়ার সময় বা কাজে বেরনোর আগে আমরা অনেকেই পিঠে ভারী ব্যাকপ্যাক নিয়ে থাকি। বেশি ওজনের ব্যাগ দীর্ঘ সময় ধরে বইতে হলে দু’ কাঁধে সমান ভার না পড়লে কাঁধে বা পিঠে ব্যথা হয়। তাই ব্যাগ এমন ভাবেই নিতে হবে যাতে দু’কাঁধে সমান চাপ পড়ে।
আরামদায়ক বালিশ: শোওয়ার সময়েও খেয়াল রাখতে হবে। বালিশ শক্ত নাকি আরাম কীভাবে আরাম হচ্ছে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। ঘুমোনোর সময় ঘাড় বেঁকে যাচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখুন।
নিয়মিত শরীরচর্চা : ব্যথা কমাতে প্রতিদিন শরীরচর্চার কোনও বিকল্প নেই। সাঁতার হোক বা যোগব্যায়াম- অথবা নিয়মিত হাঁটা প্রতিদিন করার চেষ্টা করুন। এতে কিছুটা হলেও ব্যথা কমবে।