ঘুম মহান আল্লাহর নেয়ামত। মানুষ ঠিকভাবে ঘুমাতে না পারলে দুনিয়ার কোনো কাজই সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে সম্পন্ন করতে পারবে না। মানসিক প্রশান্তরি অন্যতম উপসর্গও এ ঘুম।
নবীজির দিনরাত আল্লাহ তাআলার ইবাদত বন্দেগিতেই কাটতো। ঘুমাতেন কোরআন তিলাওয়াত করে, যেন সারা রাত রহমত বর্ষিত হতে থাকে। এভাবেই তিনি পুরোটা সময়েই ইবাদতে কাটাতেন।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন, যখন তুমি বিছানায় আশ্রয় গ্রহণ করো (ঘুমাতে যাও) তখন বলো-
اللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَوَاتِ السَّبْعِ وَمَا أَظَلَّتْ وَرَبَّ الأَرَضِينَ وَمَا أَقَلَّتْ وَرَبَّ الشَّيَاطِينِ وَمَا أَضَلَّتْ كُنْ لِي جَارًا مِنْ شَرِّ خَلْقِكَ كُلِّهِمْ جَمِيعًا أَنْ يَفْرُطَ عَلَىَّ أَحَدٌ مِنْهُمْ أَوْ أَنْ يَبْغِيَ عَلَىَّ عَزَّ جَارُكَ وَجَلَّ ثَنَاؤُكَ وَلاَ إِلَهَ غَيْرُكَ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা রাব্বাস সামাওয়াতিস সাবয়ি ওয়া মা আজাল্লাত ওয়া রাব্বাল আরদিনা ওয়া মা আকাল্লাত ওয়া রাব্বাশ শায়াত্বিনি ওয়া মা আদাল্লাত কুন লি ঝারাম মিন শাররি খালক্বিকা কুল্লিহিম ঝামিআ। আইঁইয়াফরুত্বা আলাইয়্যা আহাদুম মিনহুম আও আইঁইয়াবগিয়া আলাইয়্যা আয্যা ও ঝাল্লা ছানাউকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা ও লা ইলাহা ইল্লা আংতা।’ (মুসলিম, মিশকাত)
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি সপ্ত আকাশের প্রতিপালক এবং ঐ সকল বস্তুর প্রতিপালক, যার উপর সপ্তম আকাশ বিস্তার করে আছে এবং যিনি সমগ্র জমিনের প্রতিপালক এবং ঐ সকল বস্তুর প্রতিপালক যা সমগ্র জমিন বহন করে আছে এবং যিনি শয়তান ও ঐ লোকদের প্রতিপালক যাদেরকে শয়তান গোমরা করেছে।
হে প্রতিপালক আল্লাহ! আপনি সমগ্র মাখলুকের অনিষ্ট হতে আমার রক্ষাকারী এবং আশ্রয়দাতা হয়ে যান। যাতে এ সকল মাখলুকের মধ্য হতে কোন মাখলুক আমার উপর অত্যাচার-অবিচার করতে না পারে। নিশ্চয়ই একমাত্র আপনার আশ্রিত ব্যক্তিই প্রভাবশালী নিরাপদ এবং একমাত্র আপনার প্রশংসাই অতি মহান। আপনি ছাড়া অপর কোনো মা‘বুদ নেই। একমাত্র আপনি ইবাদতের যোগ্য।
হাদিসে এসেছে-হযরত জাবির (রা.) বলেন, আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, কোনো ব্যক্তি (আল্লাহর কাছে) কোনো কিছু প্রার্থনা করলে আল্লাহ তাআলা তাকে তা দান করেন। অথবা তদানুযায়ী তার থেকে কোনো অমঙ্গল প্রতিহত করেন। যতক্ষণ না সে কোনো পাপাচারে লিপ্ত হয় বা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য দোয়া করে। (তিরমিজি)
রসুল সা. বলেছেন, যদি কেউ চায় যে বিপদের সময় তার দোয়া কবুল হোক, তাহলে সে যেন সুখের দিনগুলোতে বেশি বেশি দোয়া করে। (তিরমিজি ৩৩৮২)