শিরোনাম
◈ ট্রাক প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে যানজট, ভোগান্তিতে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রীরা ◈ খাগড়াছড়িতে মারমা কিশোরীকে ‘ধর্ষণের আলামত মেলেনি’: চিকিৎসক ◈ সংকটে থাকা পাঁচ ইসলামী ব্যাংকের একীভূতকরণ: গ্রাহকের টাকা কতটা নিরাপদ? ◈ প্রস্তাবিত নতুন ২ বিভাগে যেসব জেলা থাকছে ◈ ইউনুস স্যার যদি ওইখানে বসে স্বৈরাচারী হয়ে ওঠার চেষ্টা করেন তাহলে স্যারেরও পতন আসন্ন: নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী (ভিডিও) ◈ প্রধান উপদেষ্টার সাত দফা প্রস্তাব: রোহিঙ্গা সংকটের একমাত্র সমাধান প্রত্যাবাসন ◈ বাম দলগুলোর নির্বাচনী জোট গঠন জোরদার হচ্ছে ◈ অবশেষে খোঁজ মিলেছে ডিবি হারুনের! টেক্সাসের উডল্যান্ডে কী করছেন ডিবি হারুন? (ভিডিও) ◈ বিদেশি কর্মীদের ‘নিরাপত্তা ছাড়পত্র’ প্রক্রিয়া এখন সম্পূর্ণ ডিজিটাল ◈ ব্যাংক হিসাব জব্দ করা সবসময় সঠিক পদক্ষেপ নয়: ফরাসউদ্দিন

প্রকাশিত : ০১ অক্টোবর, ২০২৫, ০৯:৪১ সকাল
আপডেট : ০১ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দাঁড়িয়ে পানাহার কেন অপছন্দ করতেন বিশ্বনবী (সা.)

বিশ্বব্যাপী দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে স্ট্রিট ফুড বা পথখাবার। সাশ্রয়ী, সুস্বাদু ও সহজলভ্য হওয়ায় অনেকেই এখন এসব খাবারের দিকে ঝুঁকছে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় শহরের বিভিন্ন প্রান্তে গড়ে উঠছে হরেক রকম পথখাবারের দোকান। এতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যেমন জড়িয়ে পড়েছেন, তেমনি শৌখিন ধনীরাও কেউ কেউ তাঁদের বিলাসবহুল গাড়িকেই দোকান বানিয়ে ফুটপাতে খাবার বিক্রি করছেন।

ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতি মানুষের ভালোবাসা ও সফলতা প্রশংসাযোগ্য। এতে নিঃসন্দেহে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হচ্ছে, মানুষও সহজে হরেক রকম খাবারের স্বাদ নিতে পারছে। কিন্তু সমস্যা হলো, কিছু কিছু দোকান এমন আছে, যেগুলোতে বসে খাওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয় না, যা ইসলামী সংস্কৃতির পরিপন্থী। এমনকি খাওয়ার আদবেরও পরিপন্থী।

বিশ্বনবী (সা.) তাঁর উম্মতদের দাঁড়িয়ে পানাহার করতে নিষেধ করেছেন। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুল (সা.) কোনো লোককে দণ্ডায়মান হয়ে পান করতে বারণ করেছেন। কাতাদাহ বলেন, আমরা বললাম, তবে খাবারের ব্যাপারে (আদেশ কি)? তিনি বলেন, সেটা তো আরো নিকৃষ্ট, আরো জঘন্য।’
(মুসলিম, হাদিস : ৫১৭০)

দাঁড়িয়ে পানাহারের মাধ্যমে শুধু খাবারের আদব লঙ্ঘন হয় না, বরং এতে মানুষের শারীরিক অনেক ক্ষতি হয়।

তাই হয়তো মহানবী (সা.) দাঁড়িয়ে পানাহারকে ভীষণ অপছন্দ করতেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন কখনো দাঁড়িয়ে পান না করে। কেউ ভুলে পান করলে সে যেন পরে বমি করে ফেলে।’ (মুসলিম, হাদিস : ৫১৭৪)

দাঁড়িয়ে পান করার অপকারিতা সম্পর্কে বিশেজ্ঞরা বলেন, এতে বদহজম হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে, জিইআরডিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে, অ্যাংজাইটি লেভেল বেড়ে যায়, পানি পান করলেও তেষ্টা থেকেই যায়, কিডনি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, পাকস্থলীতে ক্ষত সৃষ্টি হয়, এসিড লেভেলে তারতম্য দেখা দেয়, আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

দাঁড়িয়ে খাবার গ্রহণ করলে তা সরাসরি পাকস্থলীতে চলে যায়।

এতে খাবার সঠিকভাবে হজম হয় না ও পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা দেখা দেয়। আর খাদ্যনালি, পাকস্থলীতে কোনো সমস্যা না থাকলেও হতে পারে এসিডিটির সমস্যা। খাবার ঠিকমতো হজম না হলে এর প্রভাব পুরো শরীরে পড়ে। কারণ বদহজম নানা সমস্যা সৃষ্টি করে। বদহজম হলে গ্যাস, পেট ফাঁপা, খাবার জমাট হয়ে যাওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, বুক জ্বালা ও অবসাদ দেখা দেয়।
সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যাপার হলো, দাঁড়িয়ে পানাহার করলে, সেই খাবারে ইবলিস শয়তান এসে যোগ দেয়। যেটা অত্যন্ত নিকৃষ্ট। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) এক ব্যক্তিকে দাঁড়িয়ে পান করতে দেখে জিজ্ঞেস করেন, তুমি কি পছন্দ করো যে তোমার সঙ্গে বিড়াল একসঙ্গে পান করুক, উত্তরে লোকটি বলল—না, রাসুল (সা.) বলেন, তোমার সঙ্গে তার চেয়ে নিকৃষ্ট কেউ পান করেছে, আর সে হলো শয়তান।’ (মুসনদে আহমদ)

নাউজুবিল্লাহ, তাই আমাদের উচিত দাঁড়িয়ে পানাহার করা থেকে বিরত থাকা। শুধু জমজমের পানির বিধান ভিন্ন। কারণ কোনো বিজ্ঞ আলেমের মতে, জমজমের পানি দাঁড়িয়ে পান করা মুস্তাহাব। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জমজম থেকে পানি পান করিয়েছি। তিনি দাঁড়িয়ে তা পান করেছেন। (মুসলিম, হাদিস : ৫১৭৫) সূত্র: কালের কণ্ঠ 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়