আরবি বর্ষের তৃতীয় মাস রবিউল আউয়াল। এ মাসেই মহানবী (সা.)-এর জন্ম ও ওফাত। মক্কা থেকে মদিনায় তাঁর হিজরতও এ মাসে হয়েছিল। তাই রবিউল আউয়াল মাসের বিশেষ গুরুত্ব ও তাৎপর্য রয়েছে। তবে এ মাসকে কেন্দ্র করে কোনো বিশেষ আমল হাদিসে বর্ণিত নেই। এ মাসে সিরাত পাঠে বিশেষভাবে মনোযোগী হওয়া উচিত, যদিও তা কোনো নির্দিষ্ট মাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা অনুচিত।
সাহাবিগণ (রা.) ছিলেন নবী (সা.)-এর হাতে গড়া শিষ্য। তাঁরা নবীজির প্রতিটি কাজ অত্যন্ত যত্নসহকারে সংরক্ষণ করেছেন। তিনি কোন কাজ কীভাবে করতেন, কখন করতেন, সবকিছু। এমনকি নবী (সা.) কী ধরনের খাবার খেতেন বা পছন্দ করতেন, তাও হাদিসে স্পষ্টভাবে বর্ণিত আছে।
নবী (সা.)-এর খাবার ছিল রুচিসম্মত ও পুষ্টিকর। তাঁর পছন্দের খাদ্যতালিকায় ছিল:
১. বাহুর গোশত: হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুল (সা.)-এর জন্য গোশত আনা হলো এবং তাঁকে বাহুর গোশত পরিবেশন করা হলো। তিনি বাহুর গোশতই বেশি পছন্দ করতেন। তিনি তা দাঁত দিয়ে ছিঁড়ে ছিঁড়ে চিবিয়ে খেলেন।’ (জামে তিরমিজি: ১৮৩৭)
২. কদু বা লাউ: হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুল (সা.)-কে কদুর তরকারির পেয়ালা থেকে বেছে বেছে তুলে খেতে দেখেছি। তাই আমিও সব সময় কদুর তরকারি পছন্দ করি।’ (জামে তিরমিজি: ১৮৫০)
৩. শসা ও খেজুর: হজরত আবদুল্লাহ ইবনে জাফর (রা.) বলেন, ‘নবী (সা.) শসা খেজুরের সঙ্গে একত্রে খেতেন।’ (জামে তিরমিজি: ১৮৪৪)
৪. তরমুজ ও খেজুর: হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘নবী (সা.) তরমুজ ও তাজা খেজুর একত্রে খেতেন।’ (জামে তিরমিজি: ১৮৪৩)
৫. সিরকা: (টক ও ঝাঁজযুক্ত) : হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সিরকা কতই না উত্তম তরকারি।’ (জামে তিরমিজি: ১৮৪০)
নবীজির পছন্দের এই খাবারগুলো থেকে বোঝা যায়, তিনি সাধারণ ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস পছন্দ করতেন। এগুলোর পুষ্টিগুণ যেমন ছিল, তেমনি তা সহজে পাওয়া যেত। তাঁর এই অভ্যাস আমাদের জন্য এক উত্তম দৃষ্টান্ত। সূত্র: আজকের পত্রিকা