শিরোনাম
◈ কমনওয়েলথ গেমসে ২০ ক্রীড়াবিদ পাঠাবে বাংলাদেশ: বিওএর সিদ্ধান্ত ◈ মগবাজার এলাকা থেকে সাবেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল গ্রেপ্তার ◈ রাঙামাটিতে সেনাবাহিনীর ওপর গুলিবর্ষণ, আহত ১, আটক ৩ ◈ জেফ বেজোসের বিয়ের আয়োজন: ৩ দিনে গালা, ২০০ বিলিয়নিয়ার অতিথি, ৫০০ মিলিয়ন ডলারের ইয়ট নিরাপদ দূরত্বে ◈ লিখিত জবানবন্দি দিয়েছেন যেই পলাতক দুই আ. লীগ নেতা, আরও যা জানাগেল ◈ দূষণ রোধে শুধু পলিথিন বর্জন নয়, উৎপাদন বন্ধ করাও জরুরি: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ◈ ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে নেতৃত্বের স্বীকৃতি: ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন! ◈ ইরানের প্রেসিডেন্টকে ফোনালাপে যা বললেন সৌদি যুবরাজ ◈ দু’জনকে হত্যা করার অপারেশনের টাকা গ্রামের মসজিদে দান করেন র‌্যাব কর্মকর্তা: গুম সংক্রান্ত কমিশনের প্রতিবেদন ◈ রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাসহ ৪ কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি খারাপ: আইএমএফের বিবৃতি

প্রকাশিত : ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১১:৪০ দুপুর
আপডেট : ১৭ মে, ২০২৫, ০৪:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অন্যের হক নষ্টকারী মুমিন নয়

একজন মুমিন সব সময় অন্যের উপকারের চেষ্টা করবে এবং ক্ষতিসাধন থেকে দূরে থাকবে-এটাই ইসলামের শিক্ষা। কারণ যারা মানুষের উপকার করে, আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন। অন্যের ক্ষতিসাধন ও হক নষ্টের চেষ্টাকারীদের আল্লাহ সাময়িকভাবে ছাড় দিলেও, ছেড়ে দেন না। তাদের জন্য শাস্তি অবধারিত। পবিত্র কুরআনে আল্লাহতায়ালা বলেন, তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না এবং মানুষের ধন-সম্পদের কিয়দংশ জেনে-শুনে অন্যায়ভাবে গ্রাস করার উদ্দেশ্যে তা বিচারকের কাছে পেশ করো না। (সূরা আল-বাকারা, আয়াত-১৮৮)।

কুরআনে আরও বলা হয়েছে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন, তোমরা আমানতকে তার মালিকের কাছে প্রত্যর্পণ কর বা ফেরত দাও। (সূরা আন-নিসা, আয়াত-৫৮)। হজরত আবু সিরমা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি অন্য কারও ক্ষতিসাধন করে, আল্লাহতায়ালা তা দিয়েই তার ক্ষতিসাধন করেন। যে ব্যক্তি অন্যকে কষ্ট দেয়, আল্লাহতায়ালা তাকে কষ্টের মধ্যে ফেলেন।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৯৪০)। অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, আবু সিরমাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবি (সা.) বলেছেন, ‘কেউ অন্যের ক্ষতি করলে আল্লাহ তার ক্ষতিসাধন করবেন। কেউ অযৌক্তিকভাবে কারও বিরোধিতা করলে আল্লাহ তার বিরোধী হবেন।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৬৩৫)।

নবিজি (সা.) আরও বলেছেন, যার কাছে তার ভাইয়ের হক রয়েছে, তা মান-সম্মানের হোক বা অন্য কিছুর হোক, সে যেন আজই ক্ষমা চেয়ে নেয় বা (পরিশোধ করে মিটমাট করে নেয়)। এমন দিন আসার আগেই, যেদিন কোনো অর্থকড়ি থাকবে না। যদি ব্যক্তির কোনো নেক আমল থাকে তা দিয়ে পাওনাদারের ঋণ বা হক শোধ করা হবে। আর যদি কোনো নেক আমল না থাকে তা হলে পাওনাদারের বা হকদারের পাপের বোঝা সমপরিমাণ তার মাথায় দিয়ে দেওয়া হবে।’ সহিহ বুখারি। এ হাদিস দ্বারা নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত, দুনিয়াতে মানুষে মানুষে শুধু নয় কুল মাখলুকাতের মাঝে বিদ্যমান সব অন্যায় বৈষম্য ও বে-ইনসাফির সমতা বিধান ও সমাধান আখেরাতের আদালতে হবে। কেউ কারও হক নষ্ট করে দুনিয়াতে পার পেয়ে গেলেও আখেরাতে তাকে অবশ্যই পাকড়াও করা হবে এবং সে হক আদায় করা হবে। তাই অন্যের হক আদায়ের ব্যাপারে সবার সতর্ক থাকা একান্ত কর্তব্য। মহান আল্লাহতায়ালা আমাদের অন্যের হক নষ্ট করা থেকে বিরত থাকতে তাওফিক দান করুন। আমিন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়