শিরোনাম
◈ পাকিস্তান চীনের ‘জীবন্ত পরীক্ষাগার’, ৮১% সামরিক সরঞ্জাম চীনা: দাবি ভারতের জেনারেল রাহুল সিংয়ের ◈ ক্রোম ব্রাউজারে ভয়ংকর নিরাপত্তাত্রুটির সন্ধান, নিরাপদ থাকতে যা করতে হবে ◈ পাটগ্রামে থানায় হামলার প্রসঙ্গ টেনে জামায়াত আমিরের মন্তব্য: ‘এই পরিস্থিতিতে কী নির্বাচন হবে?’ ◈ পাটগ্রাম থানায় হামলা ও ভাঙচুর: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মাইদুলসহ গ্রেফতার ৪, বিএনপির অস্বীকৃতি ◈ "যা হারিয়েছি, তা কোনো বিনিময়েই পূরণ হবার নয়" - শহীদ রুবেলের স্ত্রী হ্যাপি ◈ দলের নাম ভাঙিয়ে কেউ সন্ত্রাসে জড়ালে, অসদাচরণ করলেই কঠোর ব্যবস্থা, কেউ রেহাই পাবে না : রিজভী ◈ শ্রমিক ভিসায় মালয়েশিয়ায় আইএস জঙ্গিদের তৎপরতা, অর্থ যেত বাংলাদেশ ও সিরিয়ায়: মালয়েশিয়ার আইজিপি ◈ কুমিল্লায় মা-দুই সন্তানকে পিটিয়ে হত্যার ২৪ ঘণ্টায়ও মামলা হয়নি ◈ প্রশ্ন করেন খালেদ মুহিউদ্দীন ‘আপনি আফগানিস্তানের মতো বাংলাদেশ বানাতে চান?’ জবাবে ফয়জুল করীম বলেন, ‘হ্যাঁ, বানাতে চাই।’ ◈ ফিলিস্তিনের আরও এক ফুটবলার ইসরায়েলের হামলায় প্রাণ হারালেন, ২৬৪ ক্রীড়া স্থাপনা ধ্বংস

প্রকাশিত : ০৩ জুলাই, ২০২৪, ০৮:৫৯ সকাল
আপডেট : ০৩ জুলাই, ২০২৪, ০৯:৪৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মহানবীর কাছে যে প্রশ্নের উত্তর পেয়ে ইহুদি পাদরি মুসলমান হয়েছেন

ইস্রাফিল ফকির: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করতে এলেন, তখন মদিনার লোকজন দলে দলে রাসূল সা.-কে দেখতে আসছিল তাদের সাথে একজন ইহুদি ধর্ম গুরু রাবাই এলেন। মুহাম্মদ সা.-ই ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত শেষ নবী কি না তা যাচাই করতে ইহুদি পাদরি রাসূল সা.-কে কয়েকটি প্রশ্ন করলেন এবং সে প্রশ্নের উত্তর পেয়ে মুসলমান হয়েছেন। 

তিনি ছিলেন হজরত ইয়াকুব ইবনে ইউসুফ আ.-এর বংশধর হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। তিনি ইহুদি ধর্মের গ্রন্থ সম্পর্কে ভালোভাবে জানতেন। সেখানে বর্ণিত শেষ নবীর আলামত সম্পর্কে জানেছেন।

তিনি রাসূলুল্লাহ সা.-এর নূরানী চেহারা দেখেই অনুভব করতে পেরে ছিলেন যে, সত্যিই ইনিই আল্লাহর প্রেরিত শেষ নবী। রাসূলুল্লাহ সা. তখন উপস্থিত নও-মুসলিমদের মাঝে ইসলামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলেন। সেদিন রাসূল সা.-এর কথা শুনে কোনো প্রশ্ন না করেই চলে গেলেন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম রা.। 

দ্বিতীয় দিন রাসূলুল্লাহ সা.-এর কাছে উপস্থিত হয়ে তার সাথে কিছুক্ষণ একান্ত আলোচনাকালে তাকে এমন কিছু প্রশ্ন করলেন, যার উত্তর নবী ছাড়া অন্য কারো পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়। 

এ বিষয়ে হজরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত, আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রা. নবী সা.-এর কাছে এসে বললেন, আমি আপনাকে তিনটি প্রশ্ন করছি। এগুলোর ঠিক উত্তর নবী ছাড়া অন্য কেউ জানে না। প্রশ্নগুলো হলো—

১. কিয়ামতের সর্বপ্রথম আলামত কী?
২. জান্নাতবাসীদের সর্বপ্রথম কী খাবার দেওয়া হবে? 
৩. কী কারণে সন্তান আকৃতিতে কখনো পিতার মতো, কখনো মায়ের মতো হয়?

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ বিষয়গুলো সম্পর্কে এই মাত্র জিবরাইল আলাইহিস সালাম আমাকে জানিয়ে গেলেন। এর উত্তর হলো—

১. কিয়ামত নিকটবর্তী হওয়ার সর্বপ্রথম আলামত লেলিহান অগ্নি যা মানুষকে পূর্বদিক হতে পশ্চিম দিকে ধাবিত করে নিয়ে যাবে এবং সবাইকে একত্র করবে।

২. সর্বপ্রথম খাদ্য যা জান্নাতবাসী খাবে তা হলো মাছের কলিজার বাড়তি অংশ।

৩. যদি নারীর আগে পুরুষের বীর্যপাত ঘটে তবে সন্তান পিতার মতো হয়। আর যদি পুরুষের আগে নারীর বীর্যপাত ঘটে তবে সন্তান মায়ের মতো হয়। আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই এবং নিশ্চয়ই আপনি আল্লাহর রাসুল। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭৩৪৮)

আইএফ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়