বিশ্বজিৎ দত্ত: [২] সম্প্রতি আরব সাগরের নীচে গুজরাটের কাছে হারিয়ে যাওয়া একটি নগর আবিস্কার করেছে ভারতের প্রত্নতত্ব বিভাগ। মহাভারতের কাহিনী অনুযায়ি এই নগরটি শ্রী কৃষ্ণের দ্বারকা বলে মনে করা হচ্ছে।
[৩] ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী সমূদ্রের নীচে স্কোবা ডাইভের মাধ্যমে এই নগরীতে গিয়ে কৃষ্ণের পুজা করেন ও সেখানে মযূর পুচ্ছ স্থাপন করেন।
[৪] নরেন্দ্র মোদীর এই পুজার বিষয়ে গতকাল বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ ড. বিনায়ক সেন এক্স হ্যান্ডেলে এই ঘটনাকে অবিশ্বাস্য বলেছেন। তিনি লিখেন, তৃতীয় বিশ্বেও ধর্মনিরপেক্ষতার যুগ কী তাহলে শেষ।
[৫] ড. বিনায়ক লিখেন, হিমালয়ের বিচ্ছিন্ন গুহা থেকে গভীর পানির নিচ পর্যন্ত ধর্ম ও রাজনীতির এক অদ্ভুত মিশ্রন করা হচ্ছে।
ভারতের আসন্ন নির্বাচনের আগে ভারতীয় ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রকাশ্য ভক্তি প্রদর্শন চলছে।
[৬] তিনি লিখেন, আশ্চর্যজনক ভাবে নেহেরুভিয়ান ভারতীয় নীতি সময়ের সাথে পরিবর্তিত হচ্ছে। যা শুধু ভারতেই নয়।
[৭] ভারতের গুজরাটের জামনগরে দ্বারকাধীশের প্রধান মন্দির প্রায় ২৫০০ বছর পুরনো। কৃষ্ণের প্রস্থানের পর পরই সমগ্র দ্বারকা নগরী জলে তলিয়ে যায়। শুধু দ্বারকাধীশ মন্দিরের এই অংশ ও ভেট দ্বারকা সুরক্ষিত থাকে। পরবর্তীকালে কৃষ্ণের প্রপৌত্র বজ্রনাভ এই মন্দিরের নির্মাণ করেন। হিন্দু ধর্মগুরু শঙ্করাচার্যও দ্বারকাধীশ মন্দিরের সম্প্রসারণ ও নির্মাণে যোগদান করেছিলেন। কৃষ্ণের এই মন্দিরটি ১০৮টি পবিত্র বিষ্ণু মন্দির বা দিব্যসেবসমের মধ্যে অন্যতম।
[৮] মাহভারতের কাহিনী অনুযায়ি কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে সন্তানদের মৃত্যুতে ভেঙে পড়ে মা গান্ধারী। এই ধ্বংসলীলার জন্য তিনি শ্রীকৃষ্ণকে দায়ী করেন। কৃষ্ণ তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে তিনি অনেকবার দুর্যোধনকে বোঝাতে চেষ্টা করেছিলেন যুদ্ধের ভয়াবহতা। পুত্র শোকে কাতর গান্ধারী কোনও কথাই মানতে চাননি গান্ধারীর স্থির বিশ্বাস ছিল কৃষ্ণ চাইলেই এই যুদ্ধ আটকাতে পারতেন।
[৯] শক্তি থাকা সত্বেও যুদ্ধ নিবারণ না করায় গান্ধারী কৃষ্ণকে এই বলে অভিশাপ দেন স্বামীর সেবা করার ফলে অর্জিত পূণ্যের বলে আমি তোমাকে অভিশাপ দিচ্ছি যে আজ থেকে ছত্রিশ বছর পর তুমিও পুত্র, বন্ধু ও স্বজন হারিয়ে বনের মধ্যে খুব কষ্টে নিহত হবে এবং যাদবনারীগণও কুরু ও পাণ্ডব পক্ষীয় নারীদের মত কাঁদবে এবং দারকা নগরী সমুদ্রে তলিয়ে যাবে।
বিডি/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :