সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী ইয়েমেনের বিদ্রোহী হুথি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে নতুন করে হামলা চালিয়েছে। হুথিদের কয়েকটি দূরপাল্লার ড্রোনকে লক্ষ্যবস্তু করে এ হামলা চালায়। সূত্র: আনাদোলু, এএফপি
[৩] শনিবার হুথিদের ১৮টি স্থাপনা ও সরঞ্জামকে এ হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে লোহিত সাগরে চলাচলকারী জাহাজের ওপর ইরান-সমর্থিত বিদ্রোহীদের কয়েক দফা হামলার পর নতুন এই হামলা হলো। হামলায় ব্রিটিশ বিমানবাহিনীর চারটি টাইফুন এফজিআরফোরএস যুদ্ধবিমান অংশ নেয়।
[৪] চলতি মাসে এটি হুথিদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের চালানো দ্বিতীয় যৌথ হামলা। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ইয়েমেনের ৮টি এলাকায় সুনির্দিষ্ট করে হুথিদের ব্যবহৃত ১৮টি স্থান ও সরঞ্জামকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে অস্ত্রের গুদাম, হামলাকারী ড্রোন, আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা, রাডার ও একটি হেলিকপ্টার।
[৫] বিবৃতিতে বলা হয়, নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে হুথিরা বাণিজ্যিক ও নৌবাহিনীর জাহাজে ৪৫টির বেশি হামলা চালিয়েছে। এতে দাবি করা হয় যে, এসব আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার পাশাপাশি বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্যও হুমকি সৃষ্টি করছে এবং এ ঘটনা রোধে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন। অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, ডেনমার্ক, কানাডা, নেদারল্যান্ডস ও নিউজিল্যান্ডও ওই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছে।
[৬] ইয়েমেনের পশ্চিমাঞ্চলে হুথি নিয়ন্ত্রিত শহরে অবস্থিত এএফপির প্রতিনিধি বলেছেন, তারা কয়েকটি বিকট শব্দ শুনতে পেয়েছেন। হুথিদের পরিচালিত আল মাসিরাহ টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, ইয়েমেনের রাজধানী সানায় কয়েক দফা হামলা চালানো হয়েছে। হামলার পর আলাদা এক বিবৃতিতে পেন্টাগনের প্রধান লয়েড অস্টিন হুমকি দিয়েছেন যে, বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ একটি পানিপথে বাণিজ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে যদি আরও পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন হয়, তা গ্রহণ করা হবে এবং যুক্তরাষ্ট্র তাতে পিছপা হবে না।
[৭] অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের জবাবে এবং মজলুম ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইয়েমেনের হুথি যোদ্ধারা লোহিত সাগরে ইসরায়েল ও তার সমর্থক যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের জাহাজে হামলা জরে যাচ্ছে। গাজায় হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্তু তারা এসব দেশের জাহাজ ও যুদ্ধজাহাজে হামলা আরও জোরদার করার সংকল্প ব্যক্ত করেছে। সম্পাদনা: রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :