সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] একজন বিশ্লেষক বলেছেন, এই গুরুত্বপূর্ণ নৌপথে শান্তি স্থাপন এবং বৈশ্বিক বানিজ্য নিরাপদ করার একমাত্র উপযুক্ত ও বাস্তবসম্মত উপায় হল হুথি যোদ্ধাদের সঙ্গে আলোচনা। সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড
[৩] লোহিত সাগর, এডেন উপসাগর এবং আশপাশের নৌ সীমানায় ইইউর নৌবাহিনীর এ মিশনে ইউরোপীয় য্দ্ধুজাহাজগুলো ও বিমান থেকে আগাম সতর্ককরণ ব্যবস্থা ব্যবহার করা হবে। ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেইন এক্সএর দেওয়া এক বিবৃতিতে সাগরে ইউরোপীয়দের শক্ত অবস্থান এবং সংকটের সময়ের জোটের পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণের ইইউ’র এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘণিষ্ঠ সমন্বয় হুথি যোদ্ধাদের ওপর পাল্টা হামলা চালানোর কর্তৃত্ব দিয়ে পাঠানো ইইউ’র এ নৌ মিশন লোহিত সাগরে উত্তেজনা হ্রাস নয়, বরং বাড়াবে।
[৪] এই অতি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ নৌপথের নিরাপত্তার জন্য ব্রাসেলস ভীষণ চাপের মধ্যে আছে। ইউরোপের সব পণ্যসামগ্রীর ৯০ শতাংশেরও বেশি আসে এই নৌপথ দিয়ে। ইইউ এ প্রতিবন্ধকতা দূর করতে এবং লোহিত সাগরের আন্তর্জাতিক জাহাজ ্য নতুন রুট দিয়ে চলাচল রোধ করতে চায়। এতে পণ্য পরিবহন ব্যয় প্রায় ৪০০ শতাংশ বাড়বে। এই নৌপথ সংকটের কারণে ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্যে চায়ের অভাব দেখা দিয়েছে।
[৫] তবে এই নতুন মিশনে হুথিদের সঙ্গে বড় ধরণের সামরিক সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকির সৃষ্টি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বানিজ্যিক জাহাজে হামলা কমানোর ব্যাপারে গত ডিসেম্বর থেকে পরিচালিত যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর গত ডিসেম্বর থেকে পরিচালিত যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর নেতৃত্বে নৌজোটের সীমাবদ্ধতার বিষয়ও ইতোমধ্যে স্পষ্ট হয়ে গেছে। তারা হুথিদের হামলা ঠেকাতে চরম ব্যর্থ হয়েছে।
[৬] হুথিরা বলেছে, গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্তু তারা লোহিত সাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট এবং হানাদার ইঙ্গ-মার্কিন জাহাজে হামলা অব্যাহত রাখবে। তারা ইইউর নৌমিশন ঘোষণার পর ব্রাসেলসকেও আগুন নিয়ে না খেলতে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে। গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা ও বর্বর তান্ডবের দোসর হচ্ছে আমেরিকা ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা।
এসআই/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :