শিরোনাম
◈ ৪৩তম বিসিএস থেকে দুই হাজার ৬৪ জনকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন ◈ ৯ বছর পর পাকিস্তান গেলেন ভারতের কোনো মন্ত্রী ◈ ওএসডি কর্মকর্তারা কী করেন? ওএসডি কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা বাবদ প্রতিবছর সরকারকে গুনতে হচ্ছে কোটি কোটি টাকা ◈ শেষ নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা হাতে ছিল মাত্র সাড়ে ২৮ হাজার টাকা, ১৫ বছরই আয় করেছেন সুদ থেকে  ◈ আবহাওয়া নিয়ে  দুঃসংবাদ:  লঘুচাপ রূপ নিতে পারে নিম্নচাপে, সপ্তাহজুড়ে বৃষ্টির আভাস ◈ আমার এজলাস থেকে বের হও, বেয়াদব, থাপ্পড় দিয়ে দিয়ে পুলিশে দেব; আইনজীবীকে বিচারপতি! (ভিডিও) ◈ যে কারনে হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন সমন্বয়ক হাসনাত ◈ সালমানকে প্রাণ বাঁচাতে ক্ষমা চাওয়ার উপদেশ দিলেন বিজেপি এমপি ! ◈ ৪৩তম বিসিএস: ২০৬৪ জনকে নিয়োগ, স্থগিত ৯৯ জনের ◈ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে বিএনপির ৩টি কমিটি 

প্রকাশিত : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১০:৩০ দুপুর
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১১:৩৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দেশে ফিরেছেন কুখ্যাত মার্কিন বন্দিশালা গুয়ান্তানামো বে’র বন্দি ২ আফগান

সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] ২২ বছর আগে গ্রেপ্তার হন আফগান নাগরিক আবদুল করিম ও আবদুল জহির সাবির। তারা আফগানিস্তানের খোশত ও লোগার প্রদেশের বাসিন্দা। উভয়কে ২০০২ সালে আটক বরা হয়। মার্কিন বহিনী তাদেরকে গ্রেপ্তারের পর নিয়ে যায় কিউবার গুয়ান্তানামো বে’র কুখ্যাত মাকর্নি কারাগার ও নির্যাতন শিবিরে। ২০১৭ সাল পর্যন্ত তারা গুয়ান্তানামো বেতে বন্দী ছিলেন। এরপর তাদেরকে সেখান থেকে উপসাগরীয় আরব দেশ ওমানে নিয়ে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছিল। গত সোমবার তারা নিজ দেশ আফগানিস্তানে ফিরেছেন। সূত্র: টোলো নিউজ, এএফপি

[৩] আবদুল জহিরের ছেলে মোহাম্মদ ওসমান এবং বিমানবন্দরের একজন কর্মী জানান, ওমান থেকে সোমবার সকালে তাঁরা কাবুলে পৌঁছান। তালেবান কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ওসমান বলেন, আল্লাহর রহমতে ও ইসলামিক আমিরাতের নেতাদের চেষ্টায় তার বাবা ফিরে আসতে পেরেছেন। ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার পর ‘তথাকথিত সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ’ শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। এর অংশ হিসেবে সন্দেহভাজন শত শত লোককে কারাগারটিতে আটকে রাখা হয়। এই দু’জনও তাদের অংশ ছিলেন।

[৪] ৯/১১-এর পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত তথাকথিত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অংশ হিসেবে আটক ‘মুসলিম জঙ্গিদের’ জন্য ২০০২ সালের জানুয়ারিতে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ এই কুখ্যাত নির্যাতন শিবির ও কারাগার চালু করেন।

[৫] দক্ষিণ কিউবায় অবস্থিত মার্কিন সেনাঘাঁটিতে কারাগারটি অবস্থিত। এই কারাগারে বন্দীদের ওপর বর্বর নির্যাতন করা হয় বলে মুক্ত বন্দিরা জানিয়েছেন। অনেককে বিনা অভিযোগে সেখানে বছরের পর বছর ধরে আটকে রাখা হয়। এমনকি কেন আটকে রাখা হয়েছে, তা জানারও আইনি ক্ষমতা দেওয়া হয় না তাদের। দুই বন্দির দেশে ফেরা উপলক্ষে কাবুল বিমানবন্দরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। 

[৬] আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল মতিন এবং মার্কিন নথিপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০০২ সালে জহিরকে ওই কারাগারে নেওয়া হয়। আর করিমকে একই বছর পাকিস্তানে বন্দী হয়েছিলেন। 

[৭] গুয়ান্তানামে বেতে এখনও একজন আফগান বন্দি রয়েছেন। তাকে মুক্ত করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে বলে আফগান সরকারের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ জানান।
 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়