রাশিদুল ইসলাম : জোরপূর্বক শ্রম আইন প্রণয়নের পর মঙ্গলবার চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং অঞ্চলে উৎপাদিত সব পণ্য নিষিদ্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
জিনজিয়াং থেকে আমদানির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, বিশেষ করে সেখানে উইঘুর এবং অন্যান্য জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা মানবাধিকার লঙ্ঘনের মুখোমুখি হয়েছে বলে মানবাধিকার সংগঠনগুলো অভিযোগ তুলেছে। গণ বন্দী শিবিরে আটকে রাখার অভিযোগও উঠেছে।
উইঘুর জোরপূর্বক শ্রম প্রতিরোধ আইনের অধীনে গত বছর শেষদিকে ইউএস কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন আইন পাশ করে যুক্তরাষ্ট্র। আইনটি উইঘুর অঞ্চলের বাইরের সংস্থাগুলির দ্বারা তৈরি পণ্যগুলিকেও অবরুদ্ধ করবে, যাদের জিনজিয়াং কোম্পানি বা জিনজিয়াং সরকার বাধ্যতামূলক শ্রম অনুশীলনে পণ্য উৎপাদনে বাধ্য করে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে আমদানিকারকদের কর্তৃপক্ষের কাছে ‘স্পষ্ট ও বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ দিয়ে প্রমাণ করতে হবে যে, তারা যদি চীনের ওসব অঞ্চল থেকে পণ্য আমদানি পুনরায় শুরু করতে চায় তাহলে বাধ্যতামূলক শ্রম দিয়ে পণ্য তৈরি করা হয় না, এমন নিশ্চয়তা দিতে হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা সর্বত্র জোরপূর্বক শ্রম মোকাবেলায় বাইডেন প্রশাসনের অঙ্গীকারকে তুলে ধরে। আমরা আমাদের মিত্র ও অংশীদারদের জোরালো শ্রমের ব্যবহার থেকে বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খল মুক্ত করতে, জিনজিয়াংয়ে নৃশংসতার বিরুদ্ধে কথা বলতে এবং অবিলম্বে নৃশংসতা বন্ধের জন্য চীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্তের জবাবে বলেছে এধরনের নিষেধাজ্ঞা উভয় দেশের কোম্পানি এবং ভোক্তাদের স্বার্থকে মারাত্মকভাবে আঘাত করবে। সত্য হল চীনা আইন স্পষ্টভাবে জোরপূর্বক শ্রম নিষিদ্ধ করে। চীন তার জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ নেবে।