শিরোনাম
◈ দেশকে পঙ্গু করে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এ সহিংসতা : প্রধানমন্ত্রী ◈ খান ইউনুসে চলছে প্রচণ্ড লড়াই : আটকা পড়েছে প্রায় ২ লাখ ফিলিস্তিনি ◈ দেশের ৮ জেলায় দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা ◈ ভালোবাসার শহর প্যারিসে বৃষ্টিভেজা রাতে শুরু হলো অলিম্পিকস ২০২৪ ◈ সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আজ ◈ কারফিউ আরো শিথিলের সিদ্ধান্ত হবে আজ, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ একদফা দাবিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক বিএনপির ◈ শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা  ◈ ডিবি হেফাজতে কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ◈ কোটা আন্দোলন: ঢামেকে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীসহ তিন জনের মৃত্যু

প্রকাশিত : ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০৭:৫০ বিকাল
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০৭:৫০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নতুন অভিবাসন আইন নিয়ে ফ্রান্সে শরণার্থীদের তীব্র বিক্ষোভ

বিক্ষোভ

এল আর বাদল: [২] ডিপোর্টেশন বা প্রত্যাবাসনের কঠোর ব্যবস্থা রেখে ফ্রান্সের অভিবাসন আইনে বদল আনতে চান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে অভিবাসী ও শরণার্থীরা।

[৩] নতুন এই বিলের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়েছে ফ্রান্সের বিভিন্ন প্রান্তে। গত রোববার দুপুরে দক্ষিণ প্যারিসে এক বিশাল মিছিল বের করা হয়। মিছিলের সামনে হাতে মেগা ফোন নিয়ে হাঁটছিলেন আহমেদ সিবি। মালি থেকে পাঁচ বছর আগে ফ্রান্সে আশ্রয় নিতে এসেছিলেন ৩৩ বছরের সিবি। দক্ষিণ প্যারিসে আন্দোলনের অন্যতম মুখ তিনি।

[৪] তিনি জানান, ডাস্টবিন পরিষ্কার, অফিসে ও বাসাবাড়িতে পরিচারিকার কাজ, বাসন মাজার কাজে অংশ নিতে হচ্ছে আশ্রয়প্রার্থীদের। অথচ বীমা থেকে শুরু করে কোনোরকম সুযোগ-সুবিধা তারা পান না। তাদের কাগজ এখনো তৈরি হয়নি। ফরাসি নাগরিকদের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য সমস্ত নোংরা কাজ করেও তাদের জীবন দুর্বিষহ। মিছিলের একাধিক প্ল্যাকার্ডে এ বিষয়ে লেখা ছিলো। সংবাদমাধ্যমকে এ নিয়ে আলাদা করে বলেছেন আহমেদ। - ডয়েচেভেলে

[৫] আহমেদের বক্তব্য, আশ্রয়প্রার্থীদের দিয়ে আগামী বছরের প্যারিস অলিম্পিকের কাজও করানো হচ্ছে। স্টেডিয়াম তৈরি এবং সংস্কারের কাজ করানো হচ্ছে, অথচ তাদের বৈধ কাগজপত্র দেওয়া হচ্ছে না।

[৬] সোমবার ফ্রান্সের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে বিলটি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। তবে আইন হওয়ার জন্য উচ্চকক্ষ এবং প্রেসিডেন্টের সই প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আগামী বছরের গোড়ায় বিলটি আইনে পরিণত হতে পারে। ফরাসি রাজনীতিকদের একাংশের বক্তব্য, বাম এবং দক্ষিণপন্থিদের সঙ্গে আপোস মীমাংসার মাধ্যমেই এই বিল তৈরি হয়েছে। 

[৭] তবে বিলে কী আছে, তা এখনো সম্পূর্ণ জানা যায়নি। এখন পর্যন্ত পাওয়া কিছু তথ্য অনুযায়ী, আইনে আশ্রয় আবেদন প্রক্রিয়া দ্রুততর করা হচ্ছে। আবেদন প্রত্যাখ্যান হলে আপিলের জন্য অপেক্ষার সময়ও কমিয়ে আনা হবে। সেই সঙ্গে ফ্যামিলি রিইউনিয়ন বা পারিবারিক পুনর্মিলন ভিসা প্রক্রিয়াও কঠিন করে তোলা হচ্ছে। অর্থাৎ, ফ্রান্সে পরিবারের কোনো সদস্য থাকলে তার পক্ষে অভিবাসন পাওয়া নতুন আইনে আগের চেয়ে জটিল হতে পারে। এছাড়া ফ্রান্সে চিকিৎসার জন্য আসার রাস্তাও কঠিন করা হচ্ছে। আগে ১৩ বছরের কম বয়সীদের ডিপোর্ট করা হতো না। এবার সেই আইনেও বদলের কথা বলা হয়েছে। এই সমস্ত নিয়মকেই চ্যালেঞ্জ মনে করছেন অভিবাসনপ্রত্যাশী ও শরণার্থীরা। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না

এলাঅরবি/টিবি/জেএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়