ইমরুল শাহেদ: [২] দেশজুড়ে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের তীব্র হামলার মুখে সেনাবাহিনীর পক্ষত্যাগ, পলায়ন এবং স্থাপনা হারানো অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম ইরাবতি। হামলায় রাখাইন, কাচিন, শান এবং কারেন্নি বা কায়া রাজ্য এবং মগওয়ে ও সাগায়িং অঞ্চলে জান্তাবাহিনী পর্যুদস্ত হয়ে পড়েছে।
[৩] প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাখাইন রাজ্যের জাতিগোষ্ঠী সশস্ত্র গ্রুপ আরাকান আর্মি (এএ) বলেছে, জান্তাবাহিনীর ভয়াবহ বিমান হামলা ও শেলিংয়ের মধ্যেই ২১ দিন যুদ্ধের পর মঙ্গলবার শিন রাজ্যের পালেতওয়া টাউনশিপের হতা রন আই স্থাপনা দখল করা হয়েছে।
[৪] বিমান হামলা ও শেলিংয়ের কারণে রাখাইন রাজ্যে তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। কখন কার বাড়িতে শেল এসে পড়ে তার কোনো ঠিক ঠিকানা নেই। এই আতংকে ঘরবাড়ি ছাড়ছে বাসিন্দারা। খাদ্য সংকটের পাশাপাশি বাসিন্দারা ওষুধ ও জ্বালানি পাচ্ছেন না বলেও জানান দিয়েছেন। গত মাস থেকে জান্তাবাহিনী এই রাজ্যটি ঘেরাও করে রাখায় জিনিসপত্রের দামও দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
[৫] যুদ্ধ ও সহিংসতার এই পরিস্থিতি জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাই্ংকে সামরিক ও অর্থনৈতিক চাপে ফেললেও তিনি নীতি পরিবর্তন করতে চাইছেন না। উল্টো তিনি অন্যদের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছেন। মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে তিনি বলেন, ‘বিদেশী ড্রোন বিশেষজ্ঞ’, ব্যাংক কর্মীরা জাতীয় ঐক্য সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে। দেশের সাধারণ নাগরিকরাও সেই পথই অনুসরণ করেছে। মিন অং হ্লাইং মনে করেন, তার দেশের নাগরিকরা অলস। মিয়ানমারে প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ, উর্বর মাটি এবং একটি নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল রয়েছে। কিন্তু এর জনগণ খুব অল্পতেই নিজের দেশকে বিক্রি করছে। তারা যথেষ্ট পরিশ্রম করতে চায় না।
[৬] বৈঠকে তিনি সিনিয়র সাবেক জেনারেল থেন সেইনকে দায়ি করেন। তিনি বলেন, তার আধা-সামরিক সরকার ২০১১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। মিয়ানমারের অর্থনৈতিক মন্দার জন্য জান্তা প্রধান সাবেক এই জেনারেলকেই দায়ি করেন।
আইএস/একে
আপনার মতামত লিখুন :