সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি এবং দপ্তর ও জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আব্দুল্লাহর মধ্যে বৃহস্পতিবার কায়রোয় বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। কায়রোর প্রেসিডেন্টের দপ্তর এবং আম্মানের রাজ দরবার এ বিবৃতি প্রদান করে। সূত্র : আল-আহরাম
[৩] আল-সিসি ও আব্দুল্লাহ গাজাবাসিকে অনাহারে রাখা ও সরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগসহ অবরোধের মাধ্যমে ‘সম্মিলিত শাস্তি দেওয়ার’ ইসরায়েলি নীতিকে আবারও প্রত্যাখ্যান করেছেন।
[৪] দুই নেতা অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ, অসামরিক লোকজনের নিরাপত্তা বিধান, গাজা উপত্যাকার অবরোধ প্রত্যাহার এবং অতিজরুরী মানবিক ত্রাণসামগ্রী সরবরাহ করার দাবি জানান।
[৫] জর্ডানের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, উভয় নেতা হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন যে, এ যুদ্ধ বন্ধ ও বিস্তার রোধ করা না গেলে গোটা অঞ্চলের পরিস্থিতি ‘এক বিপজ্জনক দিকে মোড় নিয়ে মারাত্মক বিপর্যয়ের সৃষ্টি করতে পারে।
উভয় নেতা ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে বোমা যুদ্ধের বিপজ্জনক বিস্তার বলে উল্লেখ করে অরক্ষিত নিরীহ অসামরিক মানুষের ওপর এ হামলাকে আবারও জঘণ্য অপরাধ হিসেবে নিন্দা করেন।
[৬] আল-সিসি ও বাদশাহ আব্দুল্লাহ ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ফিলিস্তিনিদের অধিকারের প্রতি তাদের দৃঢ় সমর্থন পুণর্ব্যক্ত করেছেন।
[৭] গাজার হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৫০০ মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনার পর মিসর, জর্ডান, ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে চতুরপক্ষীয় বৈঠক বাতিল হয়ে যায়।
[৮] বুধবার আল-সিসি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যে আলোচনায় গাজার রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে গাজা মানবিক ত্রান সামগ্রী পাঠানোর বিষয়ে মতৈক্য হয়েছে। সে অনুযায়ী শুক্রবার(২০ অক্টোবর) ২০ ট্রাক ত্রাণসামগ্রী গাজায় প্রবেশ করার কথা।
[১০] এদিকে গাজার সংঘাতের বিস্তাররোধ এবং অসামরিক লোকজনের রক্ষার জন্য মিসর শনিবার(২১ অক্টোবর) একটি শান্তি শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রস্ততি নিচ্ছে। এতে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শরিকরা অংশ নেবে। কাতার, তুরস্ক, গ্রিস, ফিলিস্তিন, আরব আমিরাত, কুয়েত, সৌদি আরব, ইরাক ও সাইপ্রাসসহ ১২টি দেশ এবং জাতিসংঘ মহাসচিব এতে যোগদান করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
এসআই/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :