এম খান: [২] ম্যালেরিয়ার নতুন একটি সস্তা টিকা যা বিপুল পরিমাণে উৎপাদন করা সম্ভব, সেটা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এই টিকাটি উদ্ভাবন করেছে। এটি রোগটির বিরুদ্ধে সংস্থাটির অনুমোদিত দ্বিতীয় টিকা। সূত্র: বিবিসি।
[৩] ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশু ও নবজাতকের মৃত্যু হয়। মশাবাহিত এই রোগটিকে জনস্বাস্থ্যের অন্যতম শত্রু হিসেবে মনে করা হয়। ইতিমধ্যে ১০ কোটি ডোজ তৈরির চুক্তি হয়েছে। জিএসকে’র আরটিএস, এস টিকাটির মাত্র ১ কোটি ৮০ লাখ ডোজ রয়েছে। এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে বৈজ্ঞানিক প্রচেষ্টার পর রোগটির বিরুদ্ধে কার্যকর টিকা উদ্ভাবন সম্ভব হয়েছে। প্রায় দুই বছর আগে ম্যালেরিয়ার প্রথম টিকা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছিল ডব্লিউএইচও। ওই টিকাটির নাম আরটিএস,এস এবং উদ্ভাবন করেছিল জিএসকে।
[৪] ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক টেড্রোস আডানম গেব্রিয়াসিস বলেছেন, এ মুহূর্তটি খুব আনন্দের। আমি স্বপ্ন দেখতাম আমরা ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে একটি নিরাপদ ও কার্যকর টিকা আমাদের হাতে থাকবে। এখন আমাদের দুটি টিকা রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, দুটি টিকার কার্যকারিতা প্রায় সমান এবং একটি অপরটির চেয়ে ভালো বলে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
[৫] তবে সবচেয়ে বড় পার্থক্য হলো দুটি টিকার উৎপাদনের মাত্রা। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির আর২১ নামের টিকাটি বিপুল পরিমাণে উৎপাদন করা সম্ভব। ডব্লিউএইচও বলছে, আর২১ টিকাটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠবে। কারণ ম্যালেরিয়া টিকার চাহিদা সরবরাহের তুলনায় বেশি এবং এটি আগামী বছরের মাঝামাঝি থেকে পাওয়া যাবে। এগুলোর প্রতিটি ডোজের দাম পড়বে ২-৪ ডলার। একজন ব্যক্তির জন্য চারটি ডোজ প্রয়োজন হবে।