সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] আজারবাইজানের নাগোরনো-কারাবাখ ছিটমহল থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন জাতিগত আর্মেনীয়রা। আজারবাইজানের নিয়ন্ত্রণে থাকতে অনিচ্ছুক আর্মেনীয়রা। তাদের অঞ্চলটি ত্যাগ অব্যাহত রয়েছে। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স
[৩] গত সপ্তাহে আজারবাইজান ২৩ ঘণ্টার যুদ্ধে বিদ্রোহী আর্মেনীয় বাহিনীকে পরাজিত করে তিন দশক পর নিজ দেশে এ অঞ্চলটির ওপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে। পালয়ে যাওয়া লোকদের সংখ্যা এই ছিটমহলের আর্মেনীয় জনসংখ্যার প্রায এক-চতুর্থাংশ।
[৪] নাগোরনো-কারাবাখ থেকে আর্মেনীয়ার দিকে যাওয়ার রাস্তায় শত শত গাড়ির লাইনও দেখা গেছে। আজারবাইজান বলছে, তাদের অধীনে কারাবাখের বাসিন্দারা নিরাপদ থাকবে।
[৫] নাগোরনো-কারাবাখ আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অংশ হিসাবে স্বীকৃত হলেও গত তিন দশক ধরে জাতিগত আর্মেনীয়রা আর্মেনীয়ার সমর্থনে জোর করে দখল করে রেখেছিলো।
[৬] এই ভূখণ্ডের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে বাকুর সামরিক অভিযান শুরু করার পর নাগোরনো-কারাবাখের আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনীর সদস্যরা আত্মসমর্পণ এবং অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে রাজি হয়।
[৭] আজারবাইজানের একটি সরকারি সূত্র জানিয়েছে, কারাবাখে নিজেদের অস্ত্র জমা দেওয়া আর্মেনীয়ান যোদ্ধাদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করতে চায় তারা। তবে কারাবাখ যুদ্ধের সময় যারা যুদ্ধাপরাধ করেছে তাদের অবশ্যই আমাদের হাতে তুলে দিতে হবে। মুসলিম প্রধান আজারবাইজান অবশ্য এও বলেছে, খ্রিস্টান আর্মেনীয়রা চাইলে নাগোরনো-কারাবাখ থেকে চলে যেতে পারে।
[৮] কারাবাখের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা যুদ্ধবিরতি মেনে নেওয়া এবং নিরস্ত্রীকরণে সম্মত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত আজারবাইজান ৭০ টন খাদ্য বিতরণ করেছে। আরও ৪০ টন ময়দা এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সরঞ্জামসহ আরেকটি কনভয় এই অঞ্চলের দিকে যাচ্ছে বলে ঘোষণা করেছে দেশটি।
এসআই/এইচএ