রাশিদুল ইসলাম: [২] মার্কিন ডেমোক্রেটিক দলের প্রভাবশালী সিনেটর এবং সিনেট পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে সাময়িকভাবে নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। সিএনএন/ফক্স
[৩] বছরের পর বছর ঘুষ গ্রহণের বিষয়ে ফেডারেল অভিযোগের পর তিনি নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন। তার স্ত্রীর বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ রয়েছে।
[৪] শুক্রবার ম্যানহাটন ফেডারেল প্রসিকিউটর ডেমিয়েন উইলিয়ামস প্রভাবশালী এই সিনেটরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ প্রকাশ করেন। তার বিরুদ্ধে বছরের পর বছর লাখ লাখ ডলার ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ আনা হয়। দেশে-বিদেশে তার প্রভাব খাটিয়ে এই ঘুষ গ্রহণ করেছেন মেনেন্ডিজ এবং এর মধ্যে স্বর্ণের বার পর্যন্ত রয়েছে।
[৫] ম্যানহাটনের প্রসিকিউটর ডেমিয়েন জানান, এই ঘুষ গ্রহণের তালিকায় সিনেটর বব মেনেন্ডিজ, তার স্ত্রী নাদাইন মেনেন্ডিজ এবং নিউ জার্সির ৩ ব্যবসায়ী ওয়ায়েল হানা, জোস ইউরাইব এবং ফ্রেড ডাইবেজ রয়েছেন।
[৬] ম্যানহাটনের আইনজীবী জানান, ঘুষের মধ্যে রয়েছে স্বর্ণ, নগদ অর্থ, মর্টগেজের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ, বিলাসবহুল গাড়ি, বিভিন্ন দামি বস্তু এবং অদৃশ্যমান চাকরি। বব মেনেন্ডিজ এবং তার স্ত্রীর এই ঘুষ গ্রহণের মধ্য দিয়ে মিসর বিশেষভাবে লাভবান হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন ডেমিয়েন উইলিয়ামস।
[৭] তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, তারা মেনেন্ডিজের বাড়িতে ৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার নগদ অর্থ পেয়েছেন যার মধ্যে বেশ কিছু ডলার কাপড়-চোপড়ের ভেতরে লুকানো ছিল এবং এক লাখ ডলার মূল্যের স্বর্ণের বার তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই উদ্ধার কার্যক্রম সম্পন্ন হয় আরো এক বছর আগে।
[৮] প্রসিকিউটরের অভিযোগে বলা হয়েছে, বব মেনেন্ডিজ ও তার স্ত্রী নিউ জার্সির তিন ব্যবসায়ীর সাথে ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দুর্নীতির সম্পর্ক অব্যাহত রাখেন। ঘুষের বিনিময়ে বব মিশর সরকারকে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করেছেন বলেও অভিযোগ আনা হয়েছে।