সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] ভারতের অশান্ত মণিপুরে এখনো শান্তি ফেরেনি। ইম্ফলের পূর্বাঞ্চলে ভোর ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিলতা বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) তড়িঘড়ি করে তুলে নেওয়া হয়েছে। সূত্র: মিন্ট, দি ওয়ার, জি নিউজ২৪
[৩] আটক ৫ মেইতেই গ্রাম রক্ষকের মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার হঠাৎ মণিপুরের বিভিন্ন উপত্যকার থানায় স্থানীয় নারীরা হামলা চালায়। পুুলিশ জানায়, অত্যাদুনিক অস্ত্র ও সামরিক পোশাক রাখার দায়ে ৫ যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
[৪] বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা পর্যন্ত পশ্চিম ইম্ফলের সিঙ্গজামেই পুলিশ স্টেশনে কয়েক হাজার নারী জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। মণিপুর পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স থানার ৫০০ মিটারের মধ্যে আসার আগেই বিক্ষোভকারীদের থামিয়ে দেয়। এসময় অন্তত ১০ বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন।
[৫] মণিপুরের কাংপোকপি জেলায় গত ৪ মে ধর্ষণ-নির্যাতনে শিকার ওই দুই কুকি নারীর এর ভাইরাল ভিডিও ঘিরে ভারত জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। দোষীদের অবিলম্বে শাস্তির দাবি জানানো হয়। গ্রেপ্তারকৃত যুবকরা ওই ঘটনায় জড়িত বলে একটি সূত্রে জানানো হয়েছে। নির্যাতিত দুই নারীর মধ্যে একজন হলেন কার্গিল যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী এক সেনার স্ত্রী।
[৫] প্রায় ৪ মাস ধরে মেইতেই ও কুকিদের দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত মণিপুর। মেইতেইরা মণিপুরের সবচেয়ে বড় জনগোষ্ঠী। মোট জনসংখ্যার ৫৩ শতাংশ হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেইরা। মূলত ইম্ফল উপত্যকায় তাদের বাস। উপত্যাকাগুলো মনিপুরের মোট আয়তনের মাত্র ১০ শতাংশ।
[৬] অপরদিকে কুকি ও জো সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষরা থাকেন রাজ্যটির অবশিষ্ট বিস্তৃত পাহাড়ি অঞ্চলে। মেইতেইদের আদিবাসির অধিকার প্রদানের বিরোধীতা করেছে কুকিরা। কারণ মেইতেইরা সংরক্ষণের আওতায় এলে তারা পাহাড়ি অঞ্চলে জমি কিনে সেখানে প্রবেশে অগ্রাধিকার পেয়ে যাবে।
[৭] এ নিয়ে গত ৩ মে প্রথম সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তারপর থেকেই অশান্ত রয়েছে মণিপুর। সেখানে সংঘাতে এ পর্যন্ত দুই শতাধিক নিহত হয়েছে। উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ।
এসআই/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :