ইমরুল শাহেদ: [২] নির্বাচনের ৯৮ দিনের অচলাবস্থা ও নানা নাটকীয়তা শেষে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসতে যাচ্ছেন দেশটির শীর্ষ আবাসন ব্যবসায়ী স্রেথা থাভিসিন। মঙ্গলবার দেশটির ৩৭৪ জনের বেশি পার্লামেন্ট সদস্য নতুন এই প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাচন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী হতে তার ৩৭৪টি ভোটই প্রয়োজন ছিল। পার্লামেন্টে উভয় কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন এই বিজনেস টাইকুন। সূত্র: এএফপি
[৩] গত ১৪ মে থাইল্যান্ডে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির (এমএফপি) কাছে পরাজিত হয় পপুলিস্ট ফেউ থাই পার্টি। ওই নির্বাচনে বেশিরভাগ আসন জিতেছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার দল এমএফপি। থাকসিন এই দলটির প্রতিষ্ঠাতাও। ম্যুভ ফরোয়ার্ড দলটি থেকে কেউ প্রধানমন্ত্রীর পদ পেতে সামরিকপন্থী ও রাজকীয় সিনেটরদের কাছ থেকে সমর্থন নিতে পারেনি। এরপরেই ফেউ থাইয়ের সঙ্গে জোট করে এমএফপি।
[৪] পার্লামেন্টে ভোট হওয়া কয়েক ঘণ্টা আগেই থাইল্যান্ডে ফিরেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা। বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে তাকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং কারাগারে পাঠানো হয়।
[৫] থাইল্যান্ডের সর্ববৃহৎ আবাসন প্রতিষ্ঠান সানসিরির সাবেক প্রধান থাভিসিন। গত শুক্রবার দারিদ্র্য ও অসমতা মোকাবিলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। ওই দিন নিজের বিরুদ্ধে আসা দুর্নীতির অভিযোগও অস্বীকার করে থাভিসিন।
[৬] ব্যাংকক পোস্টের ওয়েবসাইট আগেই বলা হয়েছিল, ১৪-দলীয় জোট স্রেথাকে সমর্থন করছে। নিম্নকক্ষে রয়েছে ৩১৭ ভোট। প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনীত হতে তাকে অতিরিক্ত ৫৮ জন পার্লামেন্ট সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন হবে। সম্পাদনা: ইকবাল খান
আইএস/আইকে/এনএইচ