শিরোনাম
◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল ◈ চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা, আসলে কী ঘটছে

প্রকাশিত : ০৯ জুন, ২০২৩, ০১:৩৩ দুপুর
আপডেট : ০৯ জুন, ২০২৩, ০১:৩৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভূমধ্যসাগরে ৩  জাহাজের ধবংসাবশেষ আবিস্কার

সাজ্জাদূল ইসলাম: আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের একটি দল পানির নীচের এ আবিস্কার অভিযান চালায়। গত বছর ভূমধ্যসাগরের তলায় তারা জাহাজগুলোর ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পায়। আবিস্কৃত জাহাজ তিনটিই রোমান আমলের। সূত্র সিএনএন

এ অভিযানকালে ধ্বংসপ্রাপ্ত জাহাজ তিনটির হাই-রেজুলেশন ছবি ও ভিডিও ধারণ করা হয়। প্রাথমিকভাবে সমুদ্র বিজ্ঞানী রবার্ট বালার্ড ও প্রত্মতত্ত্ববিদ আন্না মারগুয়েরিট ম্যাককেন ১৯৮০ এবং ২০০০ এর দশকে জাহাজগুলোর ধ্বংসাবশেষ আবিস্কার করেন। বৃহস্পতিবার প্যারিসে ইউনেস্কো আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিজ্ঞানীরা তাদের প্রাপ্ত তথ্য প্রকাশ করেন।

আলজেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, মিসর, ফ্রান্স, ইতালি, মরক্কো, স্পেন ও তিউনিসিয়ার ২০ জন বিজ্ঞানী ১৪ দিনের অনুসন্ধান ও গবেষণা অভিযান পরিচালনা করেন। তারা ফ্রান্সের গবেষণা জাহাজ আলফ্রেড মেরলিনে করে এ অভিযান চালান। গত আগষ্ট থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
পানির নীচে ব্যবহারযোগ্য আরওভি নামের দূরনিয়ন্ত্রিত যান ব্যবহার করে তারা স্কেরকি ব্যাংক অঞ্চলে এবং ইতালির সিসিলি চ্যানেলে জাহাজের ধ্বংসাবশেষগুলো আবিস্কার করেন। বিজ্ঞানী দলের ব্যবহৃত পানির নীচের গবেষণা যান ধ্বংসাবশেষগুলোর নকশা তৈরি, চিত্র ধারণ এবং ক্যাটালগ তৈরিতে ব্যবহার করে। প্রাপ্ত ধ্বংসশেষগুলো প্রাচীন কাল থেকে বিংশ শতকের। 

জাহাজের ধ্বংসাবশেষ ও তার জিনিসপত্রের ছবি ও ভিডিও ধারণে আরওভি যান এতোটা গভীরে ডুব দিতে পারে যেখানে মানুষের যাওয়া সম্ভব নয়। একটি আরওভির নাম আর্থার। সেটি ২২৯৬ ফুট থেকে ২৯৫২ ফুট (৭০০-৯০০মিটার)  পানির গভীরে নামতে পারে।

ভূমধ্যসাগরের ব্যস্ত যাতাযাত পথে অবস্থিত সিসিলি প্রণালীর স্কেরকি ব্যাংক। এটি অত্যন্ত বন্ধুর নৌপথ। এলাকাটি অগভীর। এর তলদেশ শিলাময়। যার অনেকগুলো পানির মাত্র এক মিটার নীচে পাওয়া যায়।

তিন হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে স্কেরকি ব্যাংক জাহাজ ডুবির জন্য বিশেষ পরিচিতি লাভ করে আছে। প্রাচীন সওদাগরি জাহাজের পাশাপাশি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে যুদ্ধজাহাজও সেখানে ডুবেছে। অঞ্চলটি বিজ্ঞানীদের জন্য কৌতুহলের বিষয় হয়ে রয়েছে। এটিকে ভূমধ্যসাগরের বৈচিত্রময় সংস্কৃতির একটি মিলন কেন্দ্র বলা যেতে পারে। 

হিলারিয়ান নামে আরেকটি আ্রওভি স্কেরকি ব্যাংকের সবচেয়ে বিপজ্জনক জায়গা কেইথ রিফে গবেষণা চালায়। মহাসাগরের তলদেশে ব্যাপক গবেষণা চালায় হিলারিয়ান। তিউনিসিয়ান মহাদেশীয় সেলফের অঞ্চলটিতে আগে অজ্ঞাত এ তিনটি জাহাজের সন্ধান পাওয়া যায়। তিনটি ধ্বংসাবশেষের মধ্যে ২টি উনবিংশ শতকের শেষ বা বিংশ শতকের প্রথম দিকের। তৃতীয় জাহাজটি খ্রীষ্টপূর্ব প্রথম বা দ্বিতীয় শতকের। সম্পাদনা: শামসুল হক বসুনিয়া

এসআই/এসএইচবি/এইচএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়