সাজ্জাদুল ইসলাম: আম্মানের রাজপ্রাসাদে বৃহস্পতিবার জমকালো রাজকীয় আয়োজনে অভিজাত সৌদি তরুনীর সঙ্গে যুবরাজের বিয়ে সম্পন্ন হয়। সূত্র: আল-আরাবিয়া
অভিজাত সৌদি তরুণী কনে রাজওয়া আল সাইফ হুসেইন রাজকীয় পোশাক পরে রোলসরয়েস গাড়ীতে করে আম্মানের জাহরান রাজপ্রাসাদ পৌঁছান। তার আগেই যুবরাজ হুসেইন বিন আবদুল্লাহ পূর্ণ সামরিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে প্রাসাদে প্রবেশ করেন।
যুবরাজ হুসেইন বিন আবদুল্লাহ জর্ডানের ভবিষৎ বাদশাহ। তার বয়স ২৮ বছর। আর কনের ২৯ বছর। বিয়ের অনুষ্ঠানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। বিশিষ্ট মেহমানদের মধ্যে ছিলেন ব্রিটেনের প্রিন্স উইলিয়াম ও তা স্ত্রী কেট এবং যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্টলেডি জিল বাইডেন।
এ বিয়ের মধ্য দিয়ে জর্ডানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী সৌদি আরবের কৌশলগত মিত্রতা আরো শক্তিশালী হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জর্ডানের এক কোটি ১০ লাখ উৎফুল্ল মানুষ বিয়ের জমকালো অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন। রাজকীয় বিয়ের এ আয়োজন ঘিরে পুরো আম্মান নগরীকে সুসজ্জিত করা হয়েছিল। পথের ধারে, বাসে বর-কনেকে অভিনন্দন জানিয়ে ব্যানার-ফেস্টুন টানানো হয়। বস্তুত এ বিয়ের আমেজ ছড়িয়েছিল পুরো জর্ডান জুড়ে। আনন্দে মেতে উঠেছিল দেশটির জনগণ। কনের মা সামারা আকরাবায়ী (৫৫) মেয়ের বিয়ের সরাসরি অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন। তিনি বলেন, তিনি বিয়ের অনুষ্ঠান যেমনটি হবে বলে মনে করেছিলেন তার চেয়েও অনেক বেশি আকর্ষণীয় হয়েছে।
বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ ও রানি রানিয়ার বড় ছেলে যুবরাজ হুসেইন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাইন ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছেন। সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। রাজনীতি সচেতন হুসেইন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দিয়েছেন। দেশে-বিদেশে দারুণ জনপ্রিয় তিনি।
জর্ডানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক আমের সাবাইলেহ বলেন, এটা শুধু একটি বিয়ের আয়োজন নয়। এটা জর্ডানের ভবিষ্যৎ বাদশাহকে সবার সামনে তুলে ধরার একটি রাজকীয় আয়োজন। তাই তো যুবরাজের বিয়ে উপলক্ষে বৃহস্পতিবার জর্ডানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। সম্পাদনা: মাজহারুল ইসলাম
এসআই/এমআই/এইচএ